ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৪:১৩ পিএম
নাসিরনগরে ডাকাতকে ধরে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন এএসআই কামরুল। পেছনে কনস্টেবল জাফর। ফাইল ফটো
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মো. জীবন নামে এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে কাঁধে তুলে থানায় আনার ছবি ভাইরাল হওয়া সেই পুলিশ সদস্যরা পুরস্কার পাচ্ছেন। তাদেরকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রতিটি ভাল ও প্রশংসার কাজের আমরা পুরস্কৃত করে থাকি। এই পুরস্কার যেন অন্য পুলিশ সদস্যদের অনুপ্রাণিত করে। তাই আমরা নাসিরনগরে ডাকাত ধরে প্রশংসিত হওয়া পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছি। আগামী কল্যাণ সভায় তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হবে।’
এর আগে, শুক্রবার (২২ মার্চ) ইফতারের আগ মুহূর্তে নাসিরনগর উপজেলার হরিপুরের একটি জমি থেকে জীবনকে গ্রেপ্তার করে কাঁধে তুলে আনা হয়। জীবন ওই এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি তিনি মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি শুরু করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে নাসিরনগর থানা পুলিশ। ডাকাত জীবনকে গ্রেপ্তারের দায়িত্বে থাকা নাসিরনগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রূপন নাথ এএসআই কামরুল ইসলাম ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছে। তখন পুলিশ সদস্যরা ছদ্মবেশে সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ সদস্যদের পক্ষে গিয়ে জীবন ও তার সঙ্গীদের কাছে পানি চাওয়া হয়। একপর্যায়ে অবস্থা বুঝে জীবনকে গ্রেপ্তার করেন তারা। পরে তাকে পরানো হয় হাতকড়া। পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে হাতকড়া নিয়েই দৌঁড়ে পালায়। পুলিশ সদস্য ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে। এরপরও তাকে আনা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে এএসআই মো. কামরুল তাকে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।
ডাকাতকে কাঁধে তুলে আনার ছবি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সবাই এএসআই কামরুলের সাহসিকতার প্রশংসা করেন। এই কাজের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার তাদেরকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেন।