সাইফুল হক মোল্লা দুলু, মধ্যাঞ্চল
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৩:১৫ পিএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৭ পিএম
শনিবার রাতের কালবৈশাখীর তাণ্ডবে নুয়ে পড়েছে বিভিন্ন ক্ষেতের ফসল। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জে ঝড়ের তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হওয়ার পাশাপাশি উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা, মসুর, আলু, গম, পেঁয়াজ ক্ষেতের। ঝরে গেছে আম ও লিচুর মুকুল। জেলার বেশিরভাগ এলাকায় ঝড়ো বাতাসের পাশাপাশি ছিল ভারী বৃষ্টিপাত। নিকলীতে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের রেকর্ডও করা হয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হওয়ার পাশাপাশি উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা, মসুর, আলু, গম, পেঁয়াজ ক্ষেতের। ঝরে গেছে আম ও লিচুর মুকুল। জেলার বেশিরভাগ এলাকায় ঝড়ো বাতাসের পাশাপাশি ছিল ভারী বৃষ্টিপাত। নিকলীতে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের রেকর্ডও করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো বৃষ্টি। পরে বৃষ্টির সঙ্গে ঝরতে থাকে শিলা। শিলাবৃষ্টির তাণ্ডব চলে ১৮ মিনিট। শিলাবৃষ্টি থামলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল অনেকক্ষণ। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া। গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ায় রাস্তায় স্বাভাবিক চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটেছে। ফলে অনেক জমিতে ভেঙে পড়েছে ভুট্টা, কলা, পেঁপেগাছ। নুয়ে পড়েছে গমগাছ। নষ্ট হয়েছে মসুর ও সরিষাক্ষেত।
জননী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আল-আমীন বলেন, শনিবার রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়টি পুরোপুরি ভেঙে গেছে। সকালে এসে দেখি স্কুলটি তার জায়গায় নেই। উড়িয়ে অন্য স্থানে নিয়ে গেছে ঝড়ে। স্কুলের চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চ সব খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল নোয়াপাড়া গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, আমার ৬ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ রয়েছে। সমস্ত গাছ ভেঙে মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এখান থেকে কোনোকিছুই পাব না। এতে আমার ৪৬ থেকে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হবে।
রবিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় শনিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অধিকাংশ আম ও লিচুর মুকুল ঝরে পড়ে নষ্ট হয়েছে। অনেক এলাকার বিভিন্ন ছোটবড় গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। কিছু টিনের ঘরের চালা উল্টে গেছে ও কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ও বোরো ধান, ভুট্টা ও মরিচ গাছ মাটিতে লুটে পড়েছে।
সদর উপজেলা যশোদল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজন বলেন, আমাদের যশোদল ইউনিয়নে ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। আমি কৃষি বিভাগকে জানিয়েছি।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এ সময় শিলাবৃষ্টি মানেই ক্ষতি। আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। ক্ষতির পরিমাণ হিসাবনিকাশ করে পরে জানানো হবে।
এদিকে শনিবার রাতে নিকলী আবহাওয়া অফিস ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। রবিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত দেশে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বিশ্লেষণ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬৩ মিলিমিটার।