প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১১:৫২ এএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১২:৩১ পিএম
উদ্ধার তৎপরতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়াল ৮।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ভৈরবের পুলতাকান্দা ব্রিজ এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দ্বিতীয়জন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দের মরদেহ লালপুর ঘাটের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু এখনও পুলিশ সদস্য সোহেল রানার পাঁচ বছর বয়সি ছেলে রাইসুল নিখোঁজ রয়েছে।
ভৈরব নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ সকাল ৮টার দিকে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও বেলন দের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সদস্য সোহেল রানার ছেলে শিশু রাইসুল এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তৃতীয় দিনের মতো আমাদের উদ্ধারকাজ চলছে।
ট্রলারডুবির এ ঘটনায় নিহত উদ্ধার বাকি ছয়জন হলো পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী বেগম, তাদের সাত বছর বয়সি মেয়ে মাহমুদা, নরসিংদীর বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার, শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে, শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী টুটন দের ১১ বছর বয়সি মেয়ে আরাধ্য। ঘটনার দিন সুবর্ণা বেগম নামে ভৈরব কমলপুরের এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবে যায়। ট্রলারটিতে ১৫ থেকে ২০ জন পর্যটক ছিলেন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় দুর্ঘটনা ঘটায় রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারেননি। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরি দল এসে আবার উদ্ধারকাজ শুরু করে। আজ তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অন্যদের সঙ্গে নৌপুলিশও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
রবিবার নৌপুলিশের কিশোরগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শনি ও রবিবার পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল ও তার ছেলের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’