× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

‘জামায়াত সংশ্লিষ্টতা’ : নদভীকে একই অভিযোগে অভিযুক্ত মোতালেবের

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৩ পিএম

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২২:১৪ পিএম

রবিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য এমএ মোতালেবসহ অন্যান্য নেতাকর্মী। প্রবা ফটো

রবিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য এমএ মোতালেবসহ অন্যান্য নেতাকর্মী। প্রবা ফটো

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এমএ মোতালেবের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছিলেন একই আসনে গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী ড. আবু রেজা মুহম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। এবার সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুললেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জিতে আসা মোতালেব।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার গাড়িতে চড়ে উড়ে এসে জুড়ে বসে একদিনও আওয়ামী লীগ না করে এমপি হয়েছিলেন নদভী। জামায়াতকে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন।’

নদভী গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। দুবারের সাবেক এই সংসদ সদস্য এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেবের কাছে পরাজিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী।

পরাজয়ের আড়াই মাস পর সেই নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বর্তমান সংসদ সদস্য মোতালেবের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলেন করেন নদভী। সেখানে তিনি বলেন, ‘সাতকানিয়ায় জামায়াতের সঙ্গে বর্তমান এমপির (মোতালেব) চুক্তি হয়েছে। ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীসহ যেসব আলেমকে আমার দায়িত্বকালীন সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আসতে দিইনি, এখন তাদের আনা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, জামায়াতের নেতাকর্মীরা এখন মাঠে। এমনকি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান করারও পাঁয়তারা হচ্ছে।’

তাই আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ওই সংবাদ সম্মেলনের জবাবে রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করলেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য মোতালেব।

নদভীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘নদভী সাহেবের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে— যত্রতত্র তিনি জামায়াতের ভূত দেখছেন। এটা দেখা স্বাভাবিক। কারণ তার অতীত-বর্তমানের সঙ্গে জামায়াতের ছায়া প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তার হাতেই সর্বোচ্চসংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন। চট্টগ্রামের আর কোনো এমপি ছিল না যার হাতে এত বেশিসংখ্যক নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’

নদভীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুলে মোতালেব বলেন, ‘আমার পরিবারের সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আস্থাশীল। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যেকটি নির্দেশনা মেনে চলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সুতরাং পরিবার তুলে বিদ্রুপ করে মূলত তিনি আমার মানহানির চেষ্টা করেছেন। আমি তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।’

‘জামায়াত-বিএনপি আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতার কারণে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া এলাকায় এখন কোণঠাসা। জামায়াত-বিএনপি এখন হরতাল-অবরোধ করার মতো ক্ষমতা রাখে না। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবে সাবেক এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী জামায়াতের জুজুর ভয় দেখাচ্ছেন। জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা তো তিনিই ক্ষমতায় থাকতে করেছেন। আর এখন মায়াকান্না করছেন,’ যোগ করেন তিনি।

নদভী এক দিনও আওয়ামী লীগ করেননি মন্তব্য করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তিনি দুবার আওয়ামী লীগের এমপি হয়েছেন জীবনে এক দিনও আওয়ামী লীগ না করে। স্ত্রী, ভাইপো, শ্যালক ও ভাগিনা সিন্ডিকেট করে সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগও আছে। অথচ এখন চোরের মায়ের বড় গলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নদভী যে রাজনীতি করেছেন, তা ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। নিজে খেয়ে আওয়ামী লীগের নামে দুর্নাম রেখে গেছেন। সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করেছেন, আলেম-ওলামাদের নির্যাতন করেছেন। আমি যেসব সন্ত্রাসী, চোর-বাটপারদের ইতোমধ্যে দমন করেছি, তাদের পক্ষ নিয়েই নদভী ওই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। অসংলগ্ন প্রলাপের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে চেয়েছেন। নদভীর কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে এবং দুর্নীতির বিচার চেয়ে বিশাল মানববন্ধন হয়েছে। তারা সবাই ছিল উনার পাড়া-প্রতিবেশী, যারা উনার হাতে নির্যাতিত।’

সংসদ নির্বাচনের পর ওই নির্বাচনী এলাকায় ছয়টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে— সেদিন নদভীর এমন দাবির বিষয়ে মোতালেব বলেন, ‘তিনি (নদভী) ছয় খুনের মিথ্যা গল্প ফেঁদেছেন। সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া দুই থানার ওসি এ বক্তব্য প্রত্যাখান করেছেন।’

তিনি দাবি করেন, ‘নদভী সাহেব এওচিয়া ইউনিয়নের শনখোলা গ্রামে একজনের মালিকাধীন একটি ব্রিক ফিল্ড অন্যজনের নামে লিখে দিয়ে রাতারাতি ইট লুট করেছিলেন। টিআর ও কাবিখা প্রকল্প এমনভাবে বণ্টন করেছিলেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, যাতে তার আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। তার ক্ষমতার দাপটের সামনে পিআইও ও ইউএনও ছিল অসহায়। সরকারি প্রকল্প নয়ছয় করে, ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা