প্রবা প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২০:৪১ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২১:০২ পিএম
আদালতের নির্দেশে রবিবার নবজাতককে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়। প্রবা ফটো
বরিশালের সদরে ফেরিঘাটে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর জন্ম দেওয়া নবজাতককে ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল শিশু আদালতের বিচারক ইয়ারব হোসেনের নির্দেশে রবিবার (২৪ মার্চ) শিশুটিকে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়। আর মাকে পাঠানো হবে ময়মনসিংহের ধরলায় ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে।
হেলেনা নামের ২৫ বছর বয়সি মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শনিবার রাতে সদর উপজেলার লাহারহাট ফেরিঘাটসংলগ্ন মাছ বাজারে কন্যাশিশুর জন্ম দেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা বেদে সম্প্রদায়ের নাসিম বলেন, গতকাল নদীতে মাছ ধরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মালেকাসহ বাজারে আসেন তিনি। রাত ৮টার দিকে তারা দেখতে পান ওই নারী প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
মালেকা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ওই নারীকে দেখে বুঝতে পারি সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় হয়েছে, ব্যথা উঠছে। তখন তার কাছে যাই। আমাদের সহায়তায় তার সন্তান জন্ম হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
তিনি জানান, পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে তাদের শিশু আদালতে নেওয়া হয়।
জানা যায়, বছর দুয়েক ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। পরিচয় জানতে চাইলে নিজের নাম হেলেনা বলে জানান। এর বাইরে আর কিছুই বলতে পারেন না।
বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, ‘শিশু ও মায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ আদালতে পাঠানো হয়।’
তাদের আদালতে নিয়ে আসা বন্দর থানার এসআই রোজিনা বেগম বলেন, ‘মা ও মেয়ে সুস্থ আছে। শিশু আদালতের নির্দেশে নবজাতককে আগৈলঝাড়া শিশু নিবাসে রাখা হয়েছে। আর তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।’
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সরকারি আইন অনুযায়ী শিশুটির নিরাপত্তার জন্য আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিশু নিবাসে পাঠানো হয়েছে। তার মাকে আপাতত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। পরে তাকে ময়মনসিংহের ধরলায় ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দত্তক আইন বলতে কিছু নেই। কিছু শর্তে লালন-পালন করতে দেওয়া হয়। কেউ দত্তক নিতে চাইলে প্রক্রিয়া মেনেই নিতে হবে।’