মুন্সীগঞ্জে কারখানায় আগুন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২০:০৭ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ২৩:০৩ পিএম
সাত ঘণ্টার চেষ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রবা ফটো
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলায় বোর্ড তৈরির কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে লাগা আগুন রাত ৮টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। তারা সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
টি কে গ্রুপের মালিকানাধীন সুপার বোর্ড নামের কারখানাটি গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী এলাকায় অবস্থিত। দুপুরে কারখানার পাটের গুদামে আগুন দেখতে পান শ্রমিকরা। শুরুতে কারখানার কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে কাজ শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কারখানার ভেতরে পার্টিকেল বোর্ড, পাটখড়ি, প্লাস্টিকের দরজা ও প্লাস্টিকের পাইপের মতো দাহ্য পদার্থ রয়েছে। এগুলোর কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তা ছাড়া কারখানার ভেতরে সরু রাস্তা ও পানির অভাবে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।
ঢাকা বিভাগ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমে আমাদের গজারিয়া স্টেশনের দুটি ইউনিট এসে কাজ শুরু করে। পরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও দশ ইউনিট যোগ দেয়। বিকাল ৪টার দিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ ফোম টেন্ডার এবং রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং রোবট নিয়ে আসি।’
এ ব্যাপারে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, ‘কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। একাধিকবার সতর্ক করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।’
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। দুপুর আড়াইটা থেকে আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে কারখানার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।