রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৪:০৪ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৯ পিএম
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনারের বাসভবনে একটি সাপ দেখতে পাওয়ায় আতঙ্কে রাতভর হলুস্থুলকাণ্ড। শনিবার (২৩ মার্চ) সারা রাত নানা চেষ্টা করেও তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সর্প বিশারদ জানান, সাপটি বিষধর খৈয়া গোখরা। বৈজ্ঞানিক নাম ‘নাজা নাজা’ আর ইংরেজি নাম ইন্ডিয়ান কোবরা। এই সাপটি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ। এই প্রজাতির সাপ বৃহৎ নাজা গনের অন্তর্ভুক্ত এবং সাপে কাটার সংখ্যা বিচারে এটি অন্যতম একটি সাপ।
আরএমপি ও সাপ উদ্ধারকারী দলের দেওয়া তথ্যমতে, নগরীর চিড়িয়াখানার বিপরীতে পদ্মার পাড়ে অবস্থিত পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সরকারি বাসভবন। শনিবার সন্ধ্যার পর সেখানে একটি বড় আকারের সাপ দেখা যায়। সাপটি ওই ভবনের একটি দেয়ালের ফাটলের মাঝখানে লুকিয়ে পড়ে। এরপরই কমিশনারের বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ছুটে আসে। তবে তাদের কেউই সাপ উদ্ধার করতে পারেনি।
পরে রাজশাহীর পবায় অবস্থিত সাপ উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণকারী একটি দলকে খবর দিলে তারা রাত ১১টায় পুলিশ কমিশনারের বাংলোতে এসে সাপ উদ্ধারে কাজ শুরু করেও বিফল হয়।
ওই দলের প্রধান সর্প বিশেষজ্ঞ ও গবেষক বোরহান বিশ্বাস রমন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, পুলিশ কমিশনার বাংলোর দুটি দেয়ালের মাঝখানে ৪ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি লম্বা স্থানে সাপটি বাসা বানিয়েছে। পুরো দেয়াল না ভেঙে বা সাপটি স্বেচ্ছায় বেরিয়ে না এলে তা উদ্ধার করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও জানান, শীতের শেষে গ্রীষ্মের শুরুতে বিষধর গোখরার প্রজনন মৌসুম। ফলে সেখানে একাধিক সাপের অস্তিত্ব থাকতে পারে। তবে বহু চেষ্টা করেও সাপের দেখা পাওয়া যায়নি। ফলে ফিরে আসতে হয় তাদের।
বোরহান বিশ্বাস বলেন, সাপটি ধরতে ডিমসহ বিভিন্ন রকম টোপ ওই ফাটলের পাশে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ভবনটির চারিধারে প্রচুর পরিমাণে ফিনাইল ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আরএমপির কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।