প্রবা প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ২২:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ২২:৫৯ পিএম
নগরীর তিন থেকে চারটি ওয়ার্ড নিয়ে একটি করে পারিবারিক সাশ্রয় বাজার করার পরামর্শ দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক শামীম। শনিবার (২৩ মার্চ) বরিশাল নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উদ্যোগে পরিচালিত পারিবারিক সাশ্রয় বাজার পরিদর্শনকালে এ পরামর্শ দেন তিনি।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাশ্রয় বাজার মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি পরিকল্পনা, যা তিনি মন্ত্রীদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে এরকম কিছু করা যায় কি না এমন সিদ্ধান্ত জানালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক ঢাকায় তার সংসদীয় এলাকায় সাশ্রয় বাজার শুরু করেন, যা দেখে ও উদ্বুদ্ধ হয়ে বরিশালে প্রাথমিকভাবে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই পারিবারিক সাশ্রয় বাজার করা হয়েছে। এটির সফলতা বলছে বরিশালে এটি খুবই প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থায়ীভাবে এই বাজার চালু রাখা সম্ভব না হলেও অন্তত বাজার সিন্ডিকেটকে একটা শিক্ষা দেওয়া হবে। এই বাজারে একজন মানুষ যদি প্রতিটি পণ্যে দুই-তিন টাকাও সাশ্রয় করতে পারে, তা-ও অনেক বড় বিষয়। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে নগরীর ৩০ ওয়ার্ডে ১০টি ও পরবর্তীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে এই সাশ্রয় বাজার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাজার পরিচালনাকারী ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিন সিকদার বলেন, প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় তিনি এ বাজার খুলেছেন। এখন পর্যন্ত ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের আরও চারটি বাজার খোলা হবে শিগগির।
তিনি বলেন, সাশ্রয় বাজারে ৬০টি পণ্য খোলাবাজার অপেক্ষা সর্বনিম্ন ৫ এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা কমে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন গড়ে চার শতাধিক নগরবাসী বাজার করছে সাশ্রয় থেকে। সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে এ বাজার।
বাজারে মাংস কিনতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সানজিদা বেগম বলেন, বাজারমূল্যের চেয়ে কম হওয়ায় এখানে এসেছি। বিশেষ করে গরুর মাংসে কেজিতে ১০০ টাকা কম। তবে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। লাইনে দাঁড়ানো না লাগলে স্বস্তি পেতাম। তবে এ বাজার স্থায়ী না। তারপরও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে যেটুকু ছাড় পাচ্ছেন, তা দিয়ে অন্য মালামাল ক্রয় করা যাচ্ছে। তবে এ ধরনের বাজার স্থায়ী করা গেলে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জিম্মি করতে পারত না বলে দাবি করেন তিনি। নগরীতে এ ধরনের আরও সাশ্রয় বাজার দেওয়ার অনুরোধ জানান।
সাশ্রয় বাজার থেকে পণ্য ক্রয় করা মো. জাকির হোসেন বলেন, বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকা। এখানে ৫০ টাকা। তাই পাঁচ কেজি কিনেছি।