সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪২ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৬ পিএম
নাসিরনগরে ডাকাতকে ধরে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন এএসআই কামরুল। পেছনে কনস্টেবল জাফর। প্রবা ফটো
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মো. জীবন নামে এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে কাঁধে তুলে থানায় আনলেন পুলিশ। শুক্রবার (২২ মার্চ) ইফতারের আগ মুহূর্তে নাসিরনগর উপজেলার হরিপুরের একটি জমি থেকে তাকে এভাবেই ধরে থানায় নেয় পুলিশ।
গ্রেপ্তার জীবন ওই এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি তিনি মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি শুরু করেন।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে নাসিরনগর থানা পুলিশ। ডাকাত জীবনকে গ্রেপ্তারের দায়িত্বে থাকা নাসিরনগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রূপন নাথ এএসআই কামরুল ইসলাম ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছে। তখন পুলিশ সদস্যরা ছদ্মবেশে সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ সদস্যদের পক্ষে গিয়ে জীবন ও তার সঙ্গীদের কাছে পানি চাওয়া হয়। একপর্যায়ে অবস্থা বুঝে জীবনকে গ্রেপ্তার করেন তারা। পরে তাকে পরানো হয় হাতকড়া। পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে হাতকড়া নিয়েই দৌঁড়ে পালায়। পুলিশ সদস্য ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে। এরপরও তাকে আনা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে এএসআই মো. কামরুল তাকে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।
ওসি বলেন, শনিবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসআই রূপন নাথ জানান, পাঁচজন মিলে এ অভিযান চালানো হয়। জীবন খুবই চালাক। তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় রানা নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।