সুনীল দাস চৌধুরী, খুলনা
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:৪২ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:৪৯ পিএম
নগরীর ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে। ফলে জলপ্রবাহ বন্ধ হয়ে মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। প্রবা ফটো
খুলনায় শীত কমতেই জেঁকে বসেছে মশা। গরম আসতে না আসতেই মশার কামড়ে কোণঠাসা নগরবাসী। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হলেও কোনো সুফল মিলছে না বলে দাবি স্থানীয়দের। এক্ষেত্রে ক্রাশ প্রোগ্রাম ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩১টি ওয়ার্ডে প্রায় ১৬ লাখ মানুষের বসবাস। এসব এলাকার ড্রেন, ময়লার ডাস্টবিন, ঝোপ-ঝাড়ের কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ছড়িয়ে থাকা ২২টি খাল এবং ময়ূর নদীর অধিকাংশ এলাকা বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হওয়ায় এই উপদ্রব বেড়েছে।
নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচরা শিপইয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা জুলফিকার হোসেন জানান, সারা দিন মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ থাকতে হচ্ছে। ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে। ফলে জলপ্রবাহ বন্ধ হয়ে মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে।
২১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজার বস্তি এলাকার বাসিন্দা মালেক বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশা মারার জন্য কিছু ওষুধ স্প্রে করা হলেও তা কাজে দিচ্ছে না। যে পরিমাণ ওষুধ ছিটানোর দরকার তারা সেটা করছে না।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসংলগ্ন ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত বৃষ্টির পর নগরীতে মশার উপদ্রব বাড়ে। এবার বৃষ্টি শুরুর আগেই উৎপাত বেড়েছে। কয়েল ও মশার ওষুধ ব্যবহার করে উপদ্রব থেকে আপাতত বাঁচার চেষ্টা চলছে।
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, ড্রেন, ময়লার স্তূপ ও বাসাবাড়ির অলিগলিতে মশার ওষুধ স্প্রে করা হলেও তা খুব একটা কাজে দিচ্ছে না। কারণ নগরীর বিভিন্ন এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৫-২০টি খালসহ ময়ূর নদীতে শেওলা ও আবর্জনা জমে মশার প্রজননের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এজন্য দ্রুত কেসিসির উচিত সামগ্রিকভাবে একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করা।
খুলনা সিটির মশক নিধন ও নিয়ন্ত্রণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কনজারভেন্সি অফিসার আনিসুর রহমান জানান, ৩১টি ওয়ার্ড এলাকায় এখনও মশক নিধন ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। এ কাজে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একজন করে মোট ৩১ জন হ্যান্ড স্প্রেম্যান, ৩১ জন ফগার মেশিনম্যান এবং কেন্দ্রীয়ভাবে ২০ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স রয়েছে। এ টাস্কফোর্স বিশেষ বিশেষ সময়ে ক্রাশ প্রোগ্রাম কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।