ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪ ২২:৩১ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১১:০২ এএম
শুক্রবার সন্ধ্যায় মেঘনার পাড় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কায় ভ্রমণতরিটি ডুবে যায়। এক নারীর লাশসহ জীবিত আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভ্রমণতরি ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আট যাত্রী।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনার পাড় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, সাত বছরের মেয়ে মাহমুদা ও পাঁচ বছরের ছেলে রায়সুল, শহরের নিউটাউন এলাকার আরাদ্দা, বেলাল মিয়া, নরসিংদীর রায়পুরার আনিকা আক্তার এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।
নিখোঁজদের প্রতিবেশী রত্না বেগম বলেন, আমাদের পাশের বাড়ির সাতজন নৌকায় ছিল। চারজন উদ্ধার হয়েছে। তবে আরাদ্দা, বেলাল মিয়া ও একজন মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ আনিকার চাচা রুবেল মিয়া বলেন, আমার ভাতিজি আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা বিকালে ব্রিজের নিচে ঘুরতে আসে। পরে ট্রলারের ধাক্কায় ভ্রমণতরি ডুবে যায়। রুবা বেঁচে গেলেও আনিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভ্রমণতরিটি ডুবে যায়। এতে এক নারীর লাশ আর ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারেন না। এজন্য উদ্ধারকাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরিদল এলে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয়রা আটজনকে উদ্ধার করেছে। আনুমানিক ২০ জন ছিল শুনেছি। একাধিক নৌ পুলিশ টিম ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।