নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৯ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪ ২২:৪৩ পিএম
নোয়াখালীর পৌরবাজারের মাংস দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর যাচায়ে অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন। প্রবা ফটো
নোয়াখালীতে সরকারি নির্ধারিত মূল্য ৬৬৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য এক সপ্তাহ সময় বেধে দিয়েছে প্রশাসন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে জেলা শহরের পৌর বাজারে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ এক অভিযানে এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বাজারের ব্যবসায়ীদের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান জানান। এ ছাড়াও তিনি সব ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। কোনো ব্যবসায়ী বাজারে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করলে ক্রেতারা বিষয়টি নোয়াখালী জেলা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন। অভিযানে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর ৯টি উপজেলায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এ সময় সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে জরিমানাও করা হচ্ছে। অভিযানের খবরে প্রায় জায়গায় দ্রব্যমূল্যের দাম কমতে শুরু করে। তবে অভিযান শেষে ফের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
পৌরবাজারের মাংস বিক্রিতা আবুল কাশেম বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট স্যার আমাদের এক সপ্তাহ সময় বেধে দিয়েছেন। আমরা গরুর গোশত ৮০০ টাকা বিক্রি করি। আমাদের এদিক গরু পাওয়া যায় কম। উত্তরবঙ্গের গরু এখানে আসতে আসতে দাম বেশি হয়ে যায়।’
পৌরবাজারের নিয়মিত ক্রেতা নুরুল আলম বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট আসলেই দাম কম পাই। চলে গেলে যেই সেই। যেনো চোর পুলিশ খেলা। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।’
পৌরবাজারের বিমল সাহা বলেন, ‘আমাদের সব পণ্য অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। বড় বড় কোম্পানী সিন্ডিকেট করছে, আর দোকানি ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই সবাই সহনীয় পর্যায়ে আসুক।’
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ বলেন, ‘বেশিরভাগ দোকানেই মূল্য তালিকা নেই। ফলে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গোশতের দোকানদারদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। তারা যদি সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি না করে, তাহলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’