প্রবা প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৬ পিএম
আবেদ আলীর খণ্ডিত দেহ উদ্ধারে কীর্তনখোলায় চালানো হয় তল্লাশি। গত সোমবারের ছবি।
বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুনে থামানো লঞ্চের পাখায় আটকে পড়া জাল ছাড়াতে গিয়ে কাটা পড়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুনে থামানো এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের পাখায় আটকে পড়া জাল ছাড়াতে নেমে কাটা পড়ে নিখোঁজ হন বেদে সম্প্রদায়ের জেলে আবেদ আলী। তিনি নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড রসুলপুর চরের বাসিন্দা বেদে সর্দার সোহরাব সর্দারের ছেলে।
ওসি আব্দুল জলিল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, ঘটনার পরপরই নিখোঁজ জেলের একটি কাটা পা উদ্ধার করা হয়। শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তল্লাশিও করে। তারা উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনার দুদিন পর মরদেহ ভেসে উঠে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পা কেটে গেলেও শরীরের অন্যান অংশ অক্ষত রয়েছে। তবে পাখায় কাটা পড়ার জখম রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলে আবেদের স্ত্রী রুমা জানান, ভাগিনা ইয়াসিনকে সঙ্গে নিয়ে কীর্তনখোলা নদীর নৌ-বন্দর এলাকায় জাল ফেলেন তার স্বামী। স্রোতের টানে জাল গিয়ে নৌ-বন্দরে থাকা বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের ইঞ্জিনের পাখায় আটকে যায়। লঞ্চের পেছনে থাকা এক কর্মচারীকে বলে পাখা থেকে জাল ছাড়াতে যান আবেদ। জাল ছাড়ানোর সময় ইঞ্জিন চালু করা হয়। তখন কর্মচারীদের বললেও তারা বলে তাদের করার কিছু নেই।