সালিশে গ্রামপ্রধানের বিরোধিতা করায় খুন হন হৃদয় ত্রিপুরা

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় হৃদয় ত্রিপুরাকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি কার্বারি (গ্রামপ্রধান) কামনী ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, নানা সময় স্থানীয় গ্রাম্য সালিশে তার বিরোধিতা করায় ক্ষোভে হৃদয়কে খুন করেছেন তিনি।

সোমবার (১৮ মার্চ) খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘১২ ডিসেম্বর বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় খবর পেয়ে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়াস্থ লাসাইবো মারমা কার্বারি মালিকানাধীন একটি টিলার ওপর থেকে ৪০ বছরের হৃদয় ত্রিপুরার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নির্দেশে মাটিরাঙ্গা থানার একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনাটির নিবিড় তদন্ত শুরু করে।

এ ঘটনায় পরে খুন হওয়া হৃদয়ের ছোট ভাই মোহন ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মাটিরাঙ্গা মুন্সীপাড়ার কার্বারি কামনী কুমার ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন- খুন হওয়া হৃদয় ত্রিপুরা প্রায়ই গ্রামের বিভিন্ন বিচার সালিশে কামনী কুমার ত্রিপুরার বিরোধিতা করতেন। এ নিয়ে কামনীর মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষোভ থেকে হৃদয়কে খুন করেন তিনি। আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি।