প্রবা প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৪ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪ ২০:৪০ পিএম
নিহত আবেদ আলীর খণ্ডিত দেহ উদ্ধারে কীর্তন খোলায় চালানো হচ্ছে তল্লাশি। প্রবা ফটো
বরিশাল নৌবন্দরের পন্টুনে থামানো লঞ্চের পাখায় আটকে পড়া জাল ছাড়াতে গিয়ে কাটা পড়েছেন এক জেলে। নিহত জেলের বিচ্ছিন্ন একটি পা এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরের অন্য অংশ উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে বলে সদর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানিয়েছেন।
নিখোঁজ ওই জেলে হলেন ৩০ বছর বয়সি আবেদ আলী। তিনি বরিশাল নগরীর রসুলপুর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহরাব সর্দারের ছেলে। তার তিনমাস বয়সি কন্যাসন্তান রয়েছে।
জেলে আবেদের স্ত্রী রুমা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, কীর্তন খোলা নদীর নৌবন্দর এলাকায় জাল ফেলা হয়। এ সময় স্বামীর সঙ্গে সে ও ভাগিনা ইয়াসিনও ছিল। স্রোতের টানে জাল গিয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের ইঞ্জিনের পাখায় আটকে যায়। লঞ্চের পেছনে থাকা এক কর্মচারীকে বলে জাল ছাড়াতে যান আবেদ। এ সময় হঠাৎ করে ইঞ্জিন চালু করা হয়। তখন কর্মচারীদের ইঞ্জিন বন্ধ করতে বার বার বললেও তারা জানায় তাদের কিছু করার নেই।
নৌথানার ওসি আব্দুল জলিল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, লঞ্চের পাখায় কাটা পড়ে জেলে আবেদ নিহত হয়েছে। তার বিচ্ছিন্ন একটি পা উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরের বাকি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে।
ওসি জলিল বলেন, উদ্ধার করার পর পরিবারের সিদ্বান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পারাবাত লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সেলিম জানান, লঞ্চের নিচে জেলে জাল ছাড়াতে গেছেন, এই বিষয়টি কেউ জানায়নি। ঘাটে লঞ্চ সরানোর জন্য ইঞ্জিন চালু করা হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে এ ঘটনা ঘটেছে। চিৎকার চেচামেচি শুনে বিষয়টি জানতে পেরে ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়েছে।
বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, খবর শুনে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। উদ্ধারের পর পরবর্তী সিদ্বান্ত নেওয়া হবে।