× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সার্ভার সমস্যায় আটকে ২৪১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:১০ পিএম

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১৭:১৪ পিএম

সার্ভার সমস্যায় আটকে ২৪১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন আটকে রয়েছে। মাসের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেলেও বেতন না পাওয়ায় ধারদেনা করে চলছে তাদের পরিবার। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, ‘সার্ভারে ত্রুটি থাকায় কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। দ্রুত তাদের অ্যাকাউন্টে বেতন পৌঁছে যাবে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান,  প্রাথমিকের শিক্ষকদের আইবাস প্লাস প্লাস এর অধীনে বেতন-ভাতাদি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়া হয়। এসব কার্যক্রমের দেখভাল করে থাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মহানিয়ন্ত্রক শাখা। অনলাইনে সার্ভারের মাধ্যমে বেতন-ভাতার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ সিলেক্ট হয়ে যায়। যার কারণে উপজেলাটির সবগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন আটকে আছে।’

শিক্ষকরা জানান, চলতি মার্চ মাসের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেলেও, তারা এখন পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাননি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে রমজানে তাদের অনেক কষ্ট করে দিন পার করতে হচ্ছে। বেতন আটকে থাকার কারণ জানতে গেলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাদের সদুত্তর দিতে পারছেন না। শিগগির তাদের বেতনের টাকা ব্যাংক  অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিবগঞ্জের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, মাসের অর্ধেক সময় পার হলেও গত ফেব্রুয়ারির মাসের বেতনের টাকা অ্যাকাউন্টে আসেনি। গত ১৭ দিন ধরে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন আটকে রয়েছে। এই অবস্থায় উপজেলার প্রায় সব শিক্ষক অনেক কষ্টে দিন পার করছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণত মাসের প্রথম সপ্তাহে সোনালি ব্যাংকসহ অনান্য ব্যাংকে প্রাথমিকের সব শিক্ষকদের বেতনভাতা আসে। এবার ১৭ তারিখ পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ব্যাংকে কোনো টাকা আসেনি।’

নাম প্রকাশে আরেক শিক্ষক বলেন, আকস্মিকভাবে বেতন আটকে যাওয়ায় মনে খুব আতঙ্ক কাজ করছিল। উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সার্ভারে ত্রুটি থাকায় আমাদের বেতন আটকে রয়েছে। রমজান মাসের বেতন আটকে থাকায় আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। বেতন কবে নাগাদ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসবে এমন প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা শিক্ষা অফিস আমাদের গত সপ্তাহ ধরে বলছে ‘আজ না হয় কাল’।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার ঘোষ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আইবাস প্লাস প্লাস এর অধীনে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়া হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনভাতা। সার্ভারটি আপডেট করতে গিয়ে ত্রুটি হলে, এই উপজেলার সকল প্রাইমারি শিক্ষকদের বেতন আটকে যায়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। আশা করা যাচ্ছে দুয়েক দিনের মধ্যে এই উপজেলার প্রাথমিকের শিক্ষকরা তাদের বেতনভাতা পেয়ে যাবেন।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা