× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রিকশা উঠলেও কেঁপে ওঠে সেতু

লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৬:০৩ পিএম

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৬:০৪ পিএম

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমণী মোহন ইউনিয়নের করাতিরহাট সড়কের বেড়ির মাথা এলাকার  জরাজীর্ণ সেতু। প্রবা ফটো

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমণী মোহন ইউনিয়নের করাতিরহাট সড়কের বেড়ির মাথা এলাকার জরাজীর্ণ সেতু। প্রবা ফটো

‘পুরোনো পলেস্তারা ভেঙে রড দেখা যাচ্ছে। ফাটল ধরেছে নির্ভরশীল পিলারগুলোতে। যানবাহন উঠলেই থরথরে কাঁপে। এমনকি রিকশা উঠলেও কেঁপে ওঠে ব্রিজটি। এমন অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর দোয়া-দুরুদ পড়েই ব্রিজটি পার হই আমরা। কিন্তু কোনোভাবেই আমাদের ভয় কাটে না। মনে হয় এই বুঝি ভেঙে নিচে পড়ল।’ 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমণী মোহন ইউনিয়নের করাতিরহাট সড়কের বেড়ির মাথা এলাকার ব্রিজটি নিয়ে এভাবেই দুর্ভোগের কথা জানাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। 

এ ব্রিজ দিয়ে করাতিরহাট এলাকায় উৎপাদিত ফসল, মেঘনা নদী থেকে মাছ আহরণ ও মেঘাচরের আবাদ করা ফসল বাজারজাত করা হয়। এ ছাড়া অর্ধলক্ষাধিক মানুষের জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এটি। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই বছরের পর বছর ব্রিজটি ব্যবহার করে আসছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন, আবদুল হালিম, জয়নাল আবেদিন, শেফালি বেগম ও কুলসুম বেগমসহ কয়েকজন জানান, প্রায় ৩৫ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। তখন এ অঞ্চলে জনবসতি কম ছিল। এজন্যই এটি সরু করেই নির্মাণ করা হয়। এখন এ এলাকায় জনবসতি বেড়েছে। মানুষজন বেড়েছে। এখানে উৎপাদিত ফসল, মেঘনা নদী থেকে আহরিত মাছ পরিবহনসহ বিভিন্ন কাজে বড় পিকআপ ভ্যান আসা যাওয়া করে। প্রতিদিনই শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা জেলা শহরে আসা-যাওয়া করে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে ছোট ছোট ট্রলি, রিকশা-ভ্যান চলাচলও সরব রয়েছে। এতে ব্রিজটি এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তবে যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়তে পারে। গাড়ি চলাচলের সময় পাশ থেকে দাঁড়িয়ে দেখা যায় ব্রিজটি থরথর করে কাঁপছে। 

অটোরিকশাচালক আবদুল করিম বলেন, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ। আমার রিকশা উঠলেও কেঁপে ওঠে। এ ছাড়া জোড়াতালি দেওয়া। এখানে নতুন একটি ব্রিজ প্রয়োজন। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন থেকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখছি না।

স্থানীয় বাসিন্দা শেফালি বেগম বলেন, ভারি গাড়ি উঠলে ব্রিজ বেশি কাঁপতে থাকে। তখন খুব ধীরে ধীরে গাড়ি চালায় চালকরা। ২-৩ বছর ধরে বড় গাড়ি দেখলে স্থানীয় লোকজন ব্রিজে উঠতে নিষেধ করে। কিন্তু মালামাল নিয়ে এলে নির্ধারিত স্থানে যাওয়ার জন্য চালকরা বাধা মানে না। ব্রিজটি আমাদের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম। এটি ভেঙে গেলে চলাচলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। 

চররমণী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল সরকার বলেন, পলেস্তারা ও রেলিং ভেঙে ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিজের ওপরের অংশের কয়েকটি স্থানে আমি ঢালাই করে দিয়েছি। তবে নিচের অংশে সম্ভব হয়নি। চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম জোড়াতালি দেওয়া এ ব্রিজ। দ্রুত এখানে নতুন ব্রিজ প্রয়োজন। তা না হলে জরাজীর্ণ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

চররমণী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল বলেন, নতুন ব্রিজের বরাদ্দের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। এটি চলমান প্রক্রিয়াতে রয়েছে। তবে দ্রুত ব্রিজটি হলে এ অঞ্চলের মানুষের উপকার হবে।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, নতুন ব্রিজের জন্য আবেদন করা আছে। এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অনুমোদন দিলে ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা