কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৪ ১৮:১০ পিএম
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৩ পিএম
নিহত অর্ণব। প্রবা ফটো
কুমিল্লায় লেগুনা ও সিএনজি স্ট্যান্ডের দখল এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অর্ণব নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত অর্ণব আধিপত্য বিস্তারে জড়িত কোনো পক্ষের লোক নয়। তবে অর্ণব স্থানীয় ছাত্রদলের নেতা বলে দাবি করেছেন যুবদলের এক নেতা। গুলিবিদ্ধ আরও চারজনকে প্রাথমিকভাবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার সদর উপজেলার শাসনগাছা লেগুনা স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত অর্ণব শাসনগাছা এলাকার বাসিন্দা মো. আজহারের ছেলে। তিনি শাসনগাছা বাস টার্মিনালের সততা বাসের ম্যানেজার ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন, শাসনগাছা এলাকার নাজমুল জামান অনিক, নেয়ামত উল্লাহ, নুরুল আফসার মোহন ও নাজমুল হাসান।
অর্ণব ছাত্রদলের নেতা বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘অর্ণব দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত (অননুমোদিত) কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিল। সে নামাজ পড়ে বের হয়েছিল। সে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও তাকে বুকের বাঁ পাশে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’
তবে ওসি ফিরোজ হোসেন অর্ণব রাজনীতি করেন কি না বা কোনো পক্ষের লোক কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘লেগুনা স্ট্যান্ড নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় দুই পক্ষ গোলাগুলি শুরু করলে অর্ণব নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। অর্ণব কোন গ্রুপের, নাকি পথচারী তা এখনও জানা যায়নি।’
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শাসনগাছা লেগুনা ও সিএনজি স্ট্যান্ডসহ আশপাশের এলাকায় নীরব চাঁদাবাজি হচ্ছিল। সরকারদলীয় নেতারা এসব চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। ফলে লেগুনা ও সিএনজি স্ট্যান্ড হয়ে ওঠে আধিপত্য বিস্তারের কেন্দ্র । যারা ক্ষমতার জোর দেখাতে পারেন তারাই শাসনগাছা লেগুনা স্ট্যান্ডের নেতৃত্ব দেন।
দীর্ঘদিন ধরে লেগুনা ও সিএনজি স্ট্যান্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আবুল কাশেম নামের আওয়ামী লীগের এক নেতা। তার বাড়ি শাসনগাছার মধ্যমপাড়ায়। অন্যদিকে মোল্লাবাড়ির আলাউদ্দিনও স্ট্যান্ডটির দখল নিতে চান। সে-ও আওয়ামী লীগ সমর্থক।
শুক্রবার দুপুরে মধ্যমপাড়ার আবুল কাশেম ও মোল্লাবাড়ির আলাউদ্দিনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় অন্তত চারজন। তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্ণবকে মৃত ঘোষণা করেন।