কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৪ ১২:৫৪ পিএম
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪ ১৪:০৬ পিএম
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দলই বাগানে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম চা সংগ্রহ। প্রবা ফটো
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দলই বাগানে চা পাতা চয়নের (সংগ্রহ) মাধ্যমে মৌসুমের প্রথম চা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকদের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাগানের ২০ নম্বর সেকশনে পাতা চয়নের উদ্বোধন করেন বাগানের ব্যবস্থাপক আসগর আলী।
এদিন সকালে চা বাগান সেকশনে বাগান কর্তৃপক্ষ, চা শ্রমিক ও পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে শ্রমিকরা পুজোর্চনা, গীতাপাঠ, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এরপর নাচে-গানে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন শ্রমিকরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলই চা বাগানের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক বদরুল হুদা চৌধুরী, সহকারী ব্যবস্থাপক সাদনান চৌধুরী, হেড টিলাক্লার্ক অমল কান্তি বিশ্বাস, টিলা ক্লার্ক সুনীল তাঁতী, চা শ্রমিক সরদার লছমি ভর, সাংবাদিক সাদিকুর রহমান সামু, রুহুল ইসলাম হৃদয় প্রমুখ। পাতা চয়নের আগে শ্রমিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য শিবনারায়ণ শীল, বাগান পঞ্চায়েত নেতা রাবিন্দ্র বাউরি, নারী চা শ্রমিক খুদেজা বেগম, আচামা মাদরাজি প্রমুখ।
চা শ্রমিক সারতী সাঁওতাল, আশা বাউরী, বাসন্তী পাশী বলেন, ‘সকালে পূজা ও প্রার্থনার মাধ্যমে চা পাতা চয়ন শুরু হয়। চা চয়নের পূর্বে নারী চা শ্রমিকরা একটি চা গাছকে উপলক্ষ করে ফুল ও প্রসাদ দিয়ে পূজা করেন। এটাকে তারা বন দেবীর পূজা বলেন। এ পূজা করা হয় চা বাগানের সেকশনের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে। নেচে গেয়ে আনন্দঘন পরিবেশে তারা চা চয়নে লেগে পড়েন।’
দলই চা বাগানের ব্যবস্থাপক আসগর আলী বলেন, ‘আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে আমরা মৌসুমের প্রথম চা পাতা উত্তোলনের চেষ্টা করি। আনন্দ উৎসবের মধ্যেও আমাদের মন তেমন ভালো নেই। এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দেশে চায়ের মূল্য নেই। আমরা অনেক চেষ্টা করেও আমাদের কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাচ্ছি না। বাজারে চায়ের মূল্য ঠিক থাকলেও চা অকশনে আমরা কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাচ্ছি না। চা বাগানগুলো ও শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।