× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

১৪ বছর আগে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত ক্রুর ভাষ্য

‘মুক্তিপণ দিলে নাবিকদের কারও কিছু হবে না’

হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৫ পিএম

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৪ ২১:১৬ পিএম

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া এমভি জাহান মনি জাহাজের ফিডার মো. ইদ্রিস। প্রবা ফটো

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া এমভি জাহান মনি জাহাজের ফিডার মো. ইদ্রিস। প্রবা ফটো

‘মুক্তিপণ দিলে জিম্মি নাবিকদের কারও কিছু হবে না। কারণ সোমালিয়ান জলদস্যুরা নাবিকদের মারধর করে না। আর জাহাজমালিক এসআর শিপিং যথেষ্ট কো-অপারেটিভ। আমরা যখন জিম্মি পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলাম, তখন বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করে তারা আমাদের ফিরিয়ে এনেছে।’

ভারত মহাসাগরে গত মঙ্গলবার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর বিষয়ে কথাগুলো বলছিলেন মো. ইদ্রিস। যিনি ১৪ বছর আগে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া একই কোম্পানির জাহাজ এমভি জাহান মনি’র ফিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে এসআর শিপিংয়ের কার্যালয়ের সামনে তার সঙ্গে কথা হয় প্রতিদিনের বাংলাদেশের।

এক প্রশ্নের জবাবে ইদ্রিস বলেন, ‘আমরা যখন জিম্মি দশায় ছিলাম, তখন জলদস্যুরা আমাদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। আমরা ওদের কোনো কটু কথা বলিনি। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো কথা-কাটাকাটি হয়নি। তাই তারা আমাদের কিছু করেনি।’

জলদস্যুরা জাহাজগুলোকে কোথায় নিয়ে যায় তা জানতে চাইলে ইদ্রিস বলেন, ‘আমাদেরকে ধরার পর তারা সোমালিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমাদের চট্টগ্রাম সি বিচ যেমন, এ রকম একটি এলাকায় জাহাজ নোঙর করে রাখে। ওখানে নিয়ে যেতে তিন দিন সময় লেগেছে। সেখানে জাহাজ নিয়ে যাওয়ার পর কিডন্যাপের সঙ্গে জড়িত ১১ জলদস্যুসহ ৩০ জনের মতো ওয়াচম্যান হিসেবে জাহাজে সার্বক্ষণিক ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিডন্যাপের পর জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর তিন মাস পর আমরা ছাড়া পাই। এই তিন মাসে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আমাদের তেমন একটা সমস্যা হয়নি। জাহাজে যথেষ্ট খাবার ছিল।’

জিম্মি দশায় নাবিক-ক্রুদের খাবারের সংকট হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মো. ইদ্রিস বলেন, এই জাহাজে (এমভি আব্দুল্লাহ) তো ২০ থেকে ২৫ দিনের খাবার আছে। খাবারের খুব একটা সংকট হবে না। জাহাজে প্রচুর পরিমাণে শুকনো খাবার থাকে। তা দিয়ে অনায়াসে দুই-তিন মাস চলে যায়। আর যদি খাবার শেষ হয়ে যায়, তখন ওরা নিয়ে আসবে। কারণ তাদেরও তো খেতে হবে। তাই জিম্মি দশায় নাবিকদের খাবার নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।’

নিজের জিম্মি অবস্থার কথা স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, ‘তিন মাসে আমরা কখনও জাহাজ থেকে নামিনি। নামার চেষ্টাও করিনি। তারাও আমাদের নামতে বাধ্য করেনি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসআর শিপিং ২০১০ সালের ওই ঘটনার পর আমাদের যেহেতু ফিরিয়ে আনতে পেরেছে, এখনও জিম্মি নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে পারবে। আমাদের যখন জিম্মি করা হয়, তখন ওখানে কিডন্যাপ করা আরও অন্তত ৩০টি জাহাজ ছিল। সেগুলো আমাদের আগে কিডন্যাপ করা হয়েছিলো। আমরা তাদের পরে কিডন্যাপ হলেও তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পেরেছি। আরও এখন তো আগের চেয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত হয়েছে। তাই আশা করছি, এমভি আব্দুল্লাহর জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে খুব বেশি সময় লাগবে না।’

প্রসঙ্গত: ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এসআর শিপিং কোম্পানির মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মনি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। তখন জিম্মি হওয়ার ১০০ দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে ২৬ নাবিকসহ জাহাজটি ফিরে পেতে সক্ষম হয় এর মালিকপক্ষ। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা