মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ২৩:৫৯ পিএম
মাদারীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ কাজের টেন্ডার জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১১ মার্চ) বিকাল পর্যন্ত ছিলো টেন্ডার জমাদানের শেষ সময়। শেষ দিনে টেন্ডার জমা দিতে এসে ঠিকাদারদের অনকেই বাধার মুখে পড়েন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল মামুনের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ ঠিকাদারদের।
জানা গেছে, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এজন্য ইউএনও মো. আল মামুনকে আহ্বায়ক ও পিআইও মশিউর রহমানকে সদস্যসচিব করে ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়।
এই প্রকল্পের আওতায় ৩৫টি ঘর নির্মাণে ৫টি গ্রুপে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৫০৫টি দরপত্র বিক্রিও করা হয়। সোমবার বিকাল পর্যন্ত ছিলো জমাদানের শেষ সময়। শেষ দিনে টেন্ডার জমা দিতে এসে অনেকেই বাধার মুখে পড়েন। নির্ধারিত ঠিকাদার ছাড়া অন্যকেউ টেন্ডার জমা দিতে পারেনি। ৫০৫টির মধ্যে মাত্র ২২টি জমা পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে এই ২২টি সিডিউল প্রভাবশালীদের নির্ধারিত। তারাই ক্ষমতাশীন দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের দিয়ে টেন্ডার জমাদানে বাধা দিয়েছে।
সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার সোহরাব খান বলেন, ‘টেন্ডার জমা দিতে এসে জমা দিতে পারিনি। কিছু লোক টেন্ডার জমা দিতে দেয়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, টেন্ডার জমাদানে বাধাঁ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসেই। অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলেও দেখা যাবে। অথচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন ভূমিকাই পালন করেননি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো.আল মামুন বলেন, ‘এ ব্যাপারে কেউ সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেনি। বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ বলেছে। অভিযোগ পেলে টেন্ডার বাতিলসহ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’