চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৯ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪ ২১:২৪ পিএম
আগে রমজানের সময় বিকালে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় রেস্টুরেন্টগুলোর সামনে দেখা যেত নানা পদের বাহারি ইফতারির আয়োজন। এবার রেস্টুরেন্টপাড়ায় নেই চিরচেনা সেই আমেজ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকাল পৌনে ৪টায় সরেজমিনে দেখা গেছে সাধারণ সময়ের চিত্র।
এবার কেন ইফতারের আয়োজন করেননি—জানতে চাইলে দারুল কাবাব রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মোহাম্মদ রাশেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রথমত, ইফতারসামগ্রী তৈরির জিনিসপত্রের দাম বেশি। দ্বিতীয়ত, কারিগরের বেতনও বেশি। আগে একজন কারিগর এক হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা নিত। এখন একজন কারিগরের দৈনিক বেতন দুই হাজার টাকা। ইফতারসামগ্রী বিক্রি না হলে সেখানে অনেক টাকা লোকসান হয়। গত বছর আমরা ইফতার আইটেম তৈরি করে লোকসান খেয়েছি। তাই এবার আর ইফতারসামগ্রী বিক্রি করছি না।’
একই অবস্থা দেখা গেছে ওই রেস্টুরেন্টের পাশের সাকুরা কাবাব হাউস, রয়াল হাট রেস্টুরেন্টে। তারাও একই কারণের কথা জানায়। শুধু স্টেডিয়ামপাড়া নয়, আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। আগে মোড়ে মোড়ে হোটেল রেস্টুরেন্ট ছাড়াও রমজানে ইফতারসামগ্রী বিক্রির অনেক দোকান বসত। এবার তা দেখা যায়নি। আসকার দীঘির পাড় থেকে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত যেতে ইফতারের দোকান দেখা গেছে মাত্র তিন-চারটি।
তবে ঊর্ধ্বমূল্যের এই সময়ে অন্যান্য বছরের মতো এবারও নানা পদের বাহারি ইফতার আয়োজন করেছে রোদেলা বিকেল, বোম্মে রয়েল সুইটস, কটুমবাড়ি, রেডচিলিসহ অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো। অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্যাকেজ ইফতারের পাশাপাশি ৩৬টি আইটেমের ইফতারসামগ্রী তৈরি করছে রোদেলা বিকেল। মঙ্গলবার বিকালে রেস্টুরেন্টটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে থরে থরে সাজানো আছে ইফতারসামগ্রী। ক্রেতারা এসে সেখান থেকে পছন্দের ইফতারি কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
রোদেলা বিকেলে স্বতন্ত্র ৩৬টি আইটেমের পাশাপাশি দুটি প্যাকেজে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। ইফতারের দুটি প্যাকেজের মধ্যে ৪৯০ টাকার প্যাকেজে খেজুর, চনা, পেঁয়াজু, বেগুনি, জাফরান মিল্ক জিলাপি, আনারসের জুস, মেজবানের গরুর মাংস, তান্দুরি চিকেন পরোটা, কুমিল্লার মুড়ি ও চিকেন আলুর চপ থাকছে। অন্যদিকে ৭৯০ টাকার প্যাকেজে খেজুর, চনা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চিকেন মমো, কিশমিশ ফিরনি, জাফরান মিল্ক জিলাপি, প্রিমিয়াম চিকেন হালিম, প্রিমিয়াম মাটন হালিম, সুইট লাচ্ছি, কুমিল্লার মুড়ি, চিকেন এড রোল ও চিকেন আলুর চপ পাওয়া যাচ্ছে। রোদেলা বিকেলের মতো নানা পদের বাহারি ইফতার হোটেল শিমুল, হোটেল খোয়াজা, লায়লাসহ কাজীর দেউড়ি এলাকার হোটেলগুলোয় আছে। তবে রমজানের প্রথম দিন এসব দোকানে ক্রেতার খুব একটা ভিড় ছিল না।
ক্রেতারা বলছে, গত বছরের তুলনায় এবার ইফতারের সব আইটেমের দাম বেশি। এবার রেস্টুরেন্টভেদে চিকেন হালিম বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, বিফ হালিম ৭০০ থেকে ৯৫০ টাকায় এবং মেজবানি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়।