কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৫ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫১ পিএম
আমিরাত লুবে ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মী জাহাঙ্গীর আলম। ছবি : প্রবা
কুষ্টিয়ায় একটি মবিল কোম্পানি কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ মার্চ) শহরের কমলপুরের বাসা থেকে জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, হত্যার পর তার মরদেহ গলায় রশি বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আমিরাত লুবে ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজে কাজ করতেন। তার অফিস ছিল শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৬ মার্চ সকাল ৮টার দিকে জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি অফিসের উদ্দেশে বের হন। একই সময়ে তার স্ত্রী বের হন মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে।
দুপুর ১২টার দিকে তালা খুলে ঘরের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে জাহাঙ্গীরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান রুবিনা। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাদের সহায়তায় জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
রুবিনার দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে কেউ জাহাঙ্গীরকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছিল। হত্যার পেছনে মবিল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাত থাকতে পারে।
চাচা আবু হানিফ বলেন, তার ভাইপো খুব নম্র-ভদ্র মানুষ ছিলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তার পারিবারিক কোনো অশান্তি ছিল না। সে আত্মহত্যা করার ছেলে নয়। তার জীবনে আত্মহত্যা করার মতো কোনো কারণও ছিল না। তার দাবি, ওই মবিল কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার জাহিদের সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে জাহাঙ্গীরের বিরোধ চলছিল। এ কারণে জাহাঙ্গীরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।