জামালপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩০ পিএম
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের হামলায় আহত হয়েছেন তিনজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। এ ছাড়া পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের একটি কক্ষ ভাঙচুর করেছে ক্ষুব্ধ স্বজনরা। হামলার পর দুই দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সোমবার (১১ মার্চ ) রাত সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত তিন ইন্টার্ন চিকিৎসক হলেন, মঞ্জুরুল হাসান জীবন, ফাহমিদুল ইসলাম ফাহাদ ও তুষার আহমেদ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রাত পৌনে ৪টার দিকে জামালপুর পৌরসভার রশিদপুর এলাকার গুল মাহমুদ নামে একজন রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে ভর্তির জন্য পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সে সময় পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে একজন রোগীকে সেবা দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেই চিকিৎসকরা পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ফিরে এসে রোগী গুল মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গুল মাহমুদের স্বজনরা চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায় এবং একটি কক্ষ ভাঙচুর করে। এর প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও তাদের সুষ্ঠু বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের হামলায় তিনজন ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের একটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জামালপুর থানায় অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি রোগীদের দুর্ভোগ কমাতে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ ঘটনায় পুলিশ মৃত গুল মাহমুদের ছেলে হায়দারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত করীব। তিনি বলেন, খবর পেয়েই পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।