বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৫:১০ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৬:০৬ পিএম
নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজিপির সদস্যদের রাখা হয়েছে। প্রবা ফটো
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, গতকাল সোমবার মিয়ানার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী দুই ধাপে ১৭৯ জন বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামছড়ি সীমান্তে অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আশ্রিতদের উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১১ বিজিবি-পুলিশ-সিভিল প্রশাসনের সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জনপ্রতিনিধি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্দিকে কাপড় ঘেরাও করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তবাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়েছে। সেদিক দিয়ে সাধারণের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন-১১ বিজিবি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন । সোমবার রাতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে দেশটিতে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে বিজিপির ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।