মধ্যাঞ্চল অফিস
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪ ২০:৫০ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪ ২১:১৫ পিএম
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত। ফাইল ফটো
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এবার ১৯৭তম ঈদের জামাত আদায় করা হবে। এ উপলক্ষে সভা করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটি।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে– এবার ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। তার বিকল্প হিসেবে বড় বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা মো. সোয়াইব নামাজ পড়ানোর জন্য মনোনীত হয়েছেন।
সোমবার (১১ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়– ঈদের জামাত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য মাঠ প্রস্তুত, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও পয়ঃনিষ্কাশন, আইনশৃঙখলা ও নিরাপত্তা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত, মাঠে আধুনিক শব্দযন্ত্র স্থাপন, মাঠ সুসজ্জিত করা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, মুসল্লিদের ইফতার ও সেহরির ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা এবং শহর সজ্জিত করা হবে। জামাত টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল ‘আই’।
সভায় আরও জানানো হয়, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই শোলাকিয়া ঈদগাহের অদূরে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। তা মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোলাকিয়া মাঠকে নিরাপত্তা চাদরে ডেকে দেওয়া হবে। এজন্য পুলিশসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করবে। পাশাপাশি বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক চৌকস দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। মাঠের ২৮টি ফটকে মেটাল ডিডেকটর দিয়ে তল্লাশি করে মুসল্লিদের প্রবেশ করানো হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব কিছু করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটেছিল। সোয়া লাখ থেকেই বিবর্তনের ধারায় এ মাঠের নাম শোলাকিয়া হয়েছে। দিন দিন এর প্রচারণা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিবছরই মুসল্লিদের সমাগম বাড়ছে।