সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪ ২০:৩১ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দায় একদিনের ব্যবধানে হালি পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। সোমবার (১১ মার্চ) উভয় উপজেলার বাজারগুলোতে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৬০০ থেকে ২২০০ টাকায়। যা আগের দিন রবিবারও ছিল মণ প্রতি ৩২০০ থেকে ৩৮০০ টাকা। এতে বেশি দামের আশায় অপরিপক্ব পেঁয়াজ বাজারে এনে বিড়ম্বনায় পড়েছেন কৃষকরা।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সালথার আটঘর ইউনিয়নের জয়কাইল ও গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া হাট ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ আনা হয়েছে। যদিও এসব পেঁয়াজ বেশিরভাগই অপরিপক্ব। বেশি লাভের আশায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে এসব পেঁয়াজ তুলে সরাসরি বাজারে নিয়ে এসেছেন। কৃষকদের ধারণা বাজারে অতিরিক্ত পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দাম কমিয়ে দিয়েছে।
জয়কাইল বাজারের ব্যবসায়ী আমির হামজা ও খোকন ব্যাপারি বলেন, রবিবার সালথা বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ কিনেছি ৩২০০ থেকে ৩৮০০ টাকায়। সোমবার প্রতিমণ কিনেছি ১৬০০ থেকে ২২০০ টাকায়। হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ীর লোকসান হবে। কারণ আমরা পেঁয়াজ কিনে এখনও সরবারহ করতে পারিনি। যেসব পেঁয়াজ কিনেছি তা ঘরেও রাখা যাবে না। যে কারণে লাখ লাখ টাকা লোকসান হবে আমাদের।
সালথার বিভাগদী গ্রামের পেঁয়াজ চাষি মহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে দাম ভাল হওয়ায় আমি একবিঘা জমির পেঁয়াজ আগাম তুলেছি। সেখান থেকে ২০ মণ পেঁয়াজ বাজারে এনেছিলাম। কিন্তু বাজারে এসে দেখি পেঁয়াজের দাম অর্ধেক নেই। তাই আমি পেঁয়াজ বিক্রি না করে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তবে এসব পেঁয়াজ বেশিদিন ঘরেও রাখা যাবে না। এভাবে হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।
বালিয়া হাটে পেঁয়াজ নিয়ে আসা হাফেজ মোল্যা বলেন, বাজারে আজকে অনেক পেঁয়াজ উঠেছে। যে কারণে দাম অর্ধেক কমে গেছে। আমি তিন মণ পেঁয়াজ এনেছিলাম। কি করব, বাধ্য হয়েই অর্ধেক দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে গেলাম। প্রতিমণ পেঁয়াজ মাত্র ১৬০০ টাকা করে বিক্রি করেছি। দাম যতই কম হক, বিক্রি করে বাজার-সদাই তো করা লাগবে। নাইলে না খেয়ে থাকতে হবে।