রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫২ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৯:০৬ পিএম
রাজশাহীর সনি হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে আদালত থেকে নেওয়া হচ্ছে। প্রবা ফটো
রাজশাহীতে আলোচিত সনি হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া আন্নাফ এলাইদ মঈদকে অপহরণের দায়ে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদিকে মামলার অপর দুই আসামি আন্নাফের মা বিথি মনি ও তার মামা সালাউদ্দিন বিপ্লবকে খালাস দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- আন্নাফ এলাইদ মঈদ ও তার বান্ধবি সাবা কুমকুম ঐশী।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এনতাজুল হক বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মামলায় আসামি ছিল চারজন। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল আন্নাফের মা বিথি। অথচ তাকে কোনো সাজা দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া আসামিদের ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না।’
এ রায়ের বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নিহত সনির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার রফিকুল ইসলাম পাখির ১৭ বছরের সন্তান সনি। নিহত সনির স্ত্রীর ছোট বোনের সঙ্গে আসামি আন্নাফের যোগাযোগ ছিল। এই ঘটনায় সনি, আন্নাফকে তার এলাকায় যেতে নিষেধ করে। এই ঘটনার জেরেই সনিকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
মামলার এজাহারের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ৩ জুলাই সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সনি তার বন্ধুর চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় রাত পৌনে ৯টার দিকে হাসপাতাল এলাকা থেকে আন্নফ ও তার চারজন সঙ্গী সনিকে অপহরণ করে হেতেমখাঁ সাহাজী পাড়ায় অবস্থি কফিল উদ্দিন জামে মসজিদ এলাকয় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই আরও ১৪-১৫ জন উপস্থিত ছিল। সনিকে সেখানে নেওয়া মাত্রই আসামিরা অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন সনিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরের দিন সনির বাবা রফিকুল ইসলাম পাখি এই ঘটনায় বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।