ত্রিশালে ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হামলা
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩৩ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৯:২০ পিএম
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলনে মারধরের শিকার ইমরানের বাবা ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। প্রবা ফটো
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে সংসদ সদস্য (এমপি) এবিএম আনিছুজামানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশের কাছ থেকে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার সময় দ্বিতীয় দফায় হামলার শিকার হন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরানসহ ১০ থেকে ১২ জন। তাদের মধ্যে ৪ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হামলা দুটির ঘটনায় সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক অভিভাবক ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহান বলেন, রবিবার দুপুরে সরকারি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মহিলা কলেজের সামনে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। সেখান থেকে বর্তমান এমপি এবিএম আনিছুজামানের লোকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। এমপির বাসায় এমপির উপস্থিতিতে ফয়সালের ওপর অমানবিক নির্যাতন করে থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ফয়সালকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে উপজেলা ছাত্রলীগ। পরে পুলিশ ফয়সালকে মুছলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা ফয়সালকে থানা থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে আমাদের ধাওয়া দেয় স্থানীয় এমপি এ বি এম আনিসুজ্জামানের অনুসারীরা। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরানসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। বর্তমানে ৪ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। প্রশাসন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় এনে বিচারের দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল উদ্দিন মন্ডল দুলু বলেন, ‘আমার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন। সে এমপির স্ত্রীর পক্ষে পৌর নির্বাচন না করায় তার ওপর হামলা হয়েছে। আমার ছেলের মাথা ফাটে গেছে। আটটা সিলাই লাগেছে। সে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। আমি আমার ছেলের ওপর হামলাকারীদের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে এমপি এবিএম আনিছুজামানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ত্রিশাল পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করেন এমপির স্ত্রী শামীমা আক্তার। সে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। নির্বাচন নিয়ে ফেববুকে পোস্টকে কেন্দ্র করে সরকারি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সালকে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে থেকে তুলে এমপির বাসায় নিয়ে হকিস্ট্রিক দিয়ে পিটিয়ে থানায় দেয় এমপির লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে আটটায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে উপজেলা ছাত্রলীগ। তারপর শুরু হয় দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এতে আহত হয় অনেকেই।