বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৪ পিএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪ ১৯:০২ পিএম
বগুড়ায় স্কুলছাত্র বুলবুল হত্যায় দণ্ডিত আসামি সুজন সরকার। প্রবা ফটো
বগুড়ায় স্কুলছাত্র বুলবুল হত্যার একমাত্র আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১০ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডিত আসামি সুজন সরকার শাজাহানপুর উপজেলার লক্ষ্মীকোলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় ট্রাকের হেলপার।
নিহত বুলবুল ওরফে বিজয় উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীকোলা কাজিপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক সাইদুল ইসলামের ছেলে। সে লক্ষ্মীকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাছিমুল করিম হলি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি সুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ সালের ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিজয় তার প্রতিবেশী সুজনের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তারা দুজন ফুটবল খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথে বিজয় কোনো কারণে সুজনকে গালাগাল করে। এ সময় সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়ের ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে। এতে বিজয় অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে সুজন ভয়ে তাকে টেনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে রেখে বাড়িতে চলে যায়। বিকালের দিকে বিজয়কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মাইকিং করতে দেখে ভয় পেয়ে যায় সুজন।
‘রাত ৯টার দিকে সুজন বাঁশঝাড়ে গিয়ে বিজয়কে যেভাবে রেখে এসেছিল সেভাবে পড়ে থাকতে দেখে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পুনরায় বাড়ি গিয়ে ধারালো চাকু এনে বিজয়ের দুই হাত-পায়ের রগ ও গলা কেটে ফেলে। মরদেহ গুম করার জন্য শাজাহানপুর উপজেলার এস এ এম নামে একটি পুরাতন ইটভাটার চুল্লির ভেতর লুকিয়ে রাখে। ইটভাটা থেকে দুর্গন্ধ পান স্থানীয়রা। পরে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর সকালে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়।’