সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩৭ পিএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪ ১৮:০০ পিএম
প্রতীকী ছবি
সুনামগঞ্জ শহরের পৌর এলাকায় ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাবা-মাসহ চারজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (৯ মার্চ) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। সুনামগঞ্জ সদর থানার পুলিশের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য মতে, ধর্ষণে অভিযুক্ত আলাউদ্দিন পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে না পেরে পুলিশ শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তার বাবা, মা, মামাতো ভাই ও বোনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৯ মার্চ) বিকালে শিশুটির মা অন্যের বাসায় কাজ করতে ও বাবা ভ্যান নিয়ে বাজারে যায়। শিশুটি তার বাড়ির পাশে উঠানে খেলা করছিল। এ সময় প্রতিবেশী আলাউদ্দিন তার হাতে ১০ টাকা গুজে দেয়। চকলেট কেনার জন্য ওই টাকা দিয়ে একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই বাবা-মা শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম না। সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে শুনি আলাউদ্দিন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে মেয়েকে নিয়ে মেডিকেলে যাই। সকালে থানায় এসেছি। দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
শিশুটির মা বলেন, ‘আমার মেয়ের ৬ বছর চলে। দুপুরে কাজ করতে অন্য বাসায় গেছিলাম। সেখান থেকে এসে শুনি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।’
সুরমা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মঙ্গল মিয়া বলেন, ‘রাতে শুনেছি। এটি আমাদের জন্য লজ্জার ঘটনা। অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিতে আমরা চেষ্টা করছি।’
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক লিপিকা দাস বলেন, ‘শিশুটির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘ঘরের ভেতরেও আমাদের কন্যা শিশুরা নিরাপদ নয়। কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। মামলা নিয়ে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
ওসি মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।’