বেতাগী (বরগুনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩২ পিএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪ ১৭:০৬ পিএম
বেতাগীতে মাছুয়া খালী বাজারে ভবন নির্মাণ পরিদর্শন করছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার। প্রবা ফটো
বরগুনার বেতাগীতে মোকামিয়া ইউনিয়নের মাছুয়াখালী বাজার এলাকায় সরকারি খাল দখল করে ভবন নির্মাণ অব্যাহত রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে ভবনের মালিক বলছেন, তিনি নিয়ম মেনেই অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন। প্রশাসন বলছে, শিগগিরই অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গেল কয়েকদিন ধরে খালে জমির একাংশ দখলে নিয়ে মাটি ভরাট করে আরসিসি ভিত দিয়ে অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন নাইম মাহামুদ রিয়াজ নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী। নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা ভূমি অফিস থেকে বাধা দেওয়া হলেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ওই ব্যক্তি।
এ বিষয় স্থানীয় বাসিন্দা সোবাহান সিকদার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, খালে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করা না হলে আগামীতে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিঘ্নিত হবে এবং কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাল দখল করে ভবনটির কাজ চলছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে মাছুয়াখালী বাজারের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আগে টিনের ঘর ছিল, এখন পাকা দালান হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নাইম মাহামুদ রিয়াজ বলেন, ‘আমার জায়গায় আমি ভবন নির্মাণের কাজ করছি। তবুও প্রশাসন আমার জমির মধ্যে ৩ ফুট জায়গা বেশি রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় দোকান নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছি। সবাই বিষয়টা জানেন। ওই খালেই অনেকের ২০ ফুট জমি ভোগ দখলে রয়েছে। তা কেউ দেখছেন না।’
বেতাগী ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রিয়াজ হোসেন জানান, ‘সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণে বাধা দেওয়া পরও ওই ব্যক্তি ভবন নির্মাণ চালিয়ে আসছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন।’
বেতাগী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নাইম মাহামুদ রিয়াজকে অবৈধ স্থাপনার অংশ অপসারণ করতে বলা হয়েছে। না করলে শিগগিরই অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।