লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৮:১১ পিএম
চলার পথের জায়গার মালিক প্রতিবেশী। ২৭ বছরের বাসিন্দা এখন পথরুদ্ধ। প্রবা ফটো
রিকশাচালক আবুল বাশার; ২৭ বছর ধরে থাকছেন একই বাড়িতে। এই সময়ে তার বাড়ি ঘেঁষে গড়ে উঠেছে আরও কিছু বসতি। ৫০ বছরের বৃদ্ধ বাশারেরই জীবনের অর্ধেক পার করা সেই বাড়িতে এখন পরিবার নিয়ে থাকা দায় হয়ে উঠেছে। বাড়িতে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আটকে দিয়েছেন জমির মালিক প্রতিবেশী মমিন উল্যা। প্রায় একমাস চলার পথ বন্ধ হয়ে থাকায় অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে আছে বাশারের ১০ সদস্যের পরিবার।
ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গন্ধব্যপুর গ্রামের। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এ বিরোধের সমাধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), চন্দ্রগঞ্জ থানা ও মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রিকশাচালক আবুল বাশার।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২৭ বছর আগে এখানে বাড়ি করেন আবুল বাশার। তখন আশপাশে কোনো বসতি ছিল না। একসময় তার বাড়ির সামনে জমি কিনে বাড়ি করেন মমিন উল্যা। তার বাড়ির পশ্চিম দিক দিয়ে চলাচল করে আসছে আবুল বাশারের পরিবার। এ প্রতিবেশীর মধ্যে আশপাশের মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে সোহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দেখে আসছে। চার বছর আগে প্রথম নিজের জায়গার ওপর দিয়ে আবুল বাশারের পরিবারকে হাঁটতে নিষেধ করেন মমিন উল্যা। এক মাসে আবুল বাশারের পরিবারের চলাচলের পথে বাঁশ ও জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে দেন মমিন উল্যা।
আবুল বাশার বলেন, ‘চলাচলের পথের জন্য মমিনের কাছ থেকে জমি কিনতে চেয়েছি, তিনি দিচ্ছিলেন না। পাশের আরেকজনের কাছ থেকে জমি কিনতে চাইলেও তিনি বাধা দিচ্ছেন। সে আসলে আমার বাড়িটি কিনতে চাচ্ছে। আমি গরিব মানুষ, বাড়ি বিক্রি করলে একেবারেই নিঃস্ব হয়ে পড়ব।’
মমিন উল্যা বলেন, ‘তাদেরকে আমার জায়গা দিয়ে হাঁটতে দেব না। তারা আমার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় অভিযোগ দিয়ে ভুল করেছে। আমাকে কষ্ট দিয়েছে। তাদের সুযোগ দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল বলেন, ‘বাশারের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে তিনবার অভিযুক্ত মমিন উল্যাকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু মমিন একবারও আসেনি।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগপত্রটি এখনও আমি পাইনি। রবিবার কার্যালয়ে গেলে অভিযোগপত্রটি পাব।’ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মমিন কোনো কথাই শুনছে না। বাশার বলছেন আদালতে মামলা করবেন।’