কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৫ পিএম
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মারিয়া আক্তার নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বান্ধবী জুথি আক্তার মিম (১৪)-কে বাসায় ডেকে নিয়ে মাথার চুল কেটে ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা হলেন মারিয়া আক্তারের বাবা মশিউর রহমান ও মা সুলতানা সীমা।
রবিবার (৩ মার্চ) উপজেলার সফিপুরের রূপনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় জুথির বাবা এনামুল হক মশিউর রহমান ও সুলতানা সীমার বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুরের রূপনগর এলাকায় প্রতিবন্ধী এনামুল হক স্ত্রী ও মেয়ে জুথি আক্তার মীমকে নিয়ে বসবাস করেন। মীম সফিপুর আরকে মডেল ল্যাবরেটরি স্কুলের ১০ শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলের একই ক্লাসে তাদের পাশের বাসার মারিয়া আক্তারও লেখাপড়া করে। একই জায়গায় বাসা এবং একই ক্লাসে লেখাপড়া করার সুবাদে মারিয়া ও জুথি একসঙ্গে স্কুলে যেত। এক মাস আগে মারিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এরপর গত ৩ মার্চ রবিবার বিকালে মারিয়ার খোঁজ জানতে তার পরিবারের লোকজন জুথিকে বাসায় ডেকে নেন। তাদের মেয়ে মারিয়া কোথায় আছে তা জানার জন্য জুথিকে চাপ দেন। কিন্ত জুথি যতটুক জানে তা বলে দেয়। এতে সন্তুষ্ট হননি মারিয়ার বাবা-মা। পরে আরও তথ্য জানতে জুথিকে গালাগালসহ বেদম মারপিট করেন। একপর্যায়ে মারিয়ার বাবা মশিউর রহমান এবং মা সুলতানা সীমা ক্ষিপ্ত হয়ে জুথি আক্তারের মাথার চুল কেটে দেন। মারধর ও চুল কাটার পর জুথি আক্তার অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্থাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন।
জুথির বাবা এনামুল হক বলেন, মশিউর রহমানের মেয়ে প্রেম করে একটি ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা তাদের মেয়ের খোঁজ না পেয়ে আমার মেয়েকে বাসায় ডেকে নিয়ে মেরে আহত করার পাশাপাশি মাথার চুল কেটে দিয়েছে। এটা অন্যায়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে মারপিট ও চুল কেটে দেওয়ার সত্যতাও পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তবে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।