খুলনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪ ০০:১৬ এএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪ ১০:৫১ এএম
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকালে এ বিষয়ে আদালতের আদেশ থানায় পৌঁছালে মামলা নথিভুক্ত হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা জানান, বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার তদন্তের জন্য ওই তরুণী ও তার মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তাদের জবানবন্দি ও শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন ডুমুরিয়া উপজেলার ওই তরুণী। পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে পরদিন বিকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে তাকে অপহরণ করা হয়। এ সময় স্থানীয়দের হাতে উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান আটক হন। পরে ওইদিন রাত ১১টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার করেন ওই নারী ও তার মা। এ ঘটনার এক মাস ১০ দিন পর বুধবার (৬র্মাচ) উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন ওই তরুণীর মামাতো ভাই। আদালত শুনানি শেষে ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করার জন্য ডুমুরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।