চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৮ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪ ২১:০০ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দর। প্রবা ফাইল ফটো
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা দুটি কন্টেইনারের একই সিরিয়াল নম্বর হওয়ায় বিষয়টি তদন্তে নেমেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘৪ মার্চ জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামানোর সময় দুটি কন্টেইনারে একই সিরিয়াল নম্বর পাওয়া যায়। এমনটি কেন হয়েছে সেটি এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি আমরা কাস্টমসকে অবহিত করেছি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুটি কন্টেইনারের একই নম্বর, এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা আমরা দেখেছি। দেড় থেকে দুই বছর আগে এ রকম দুটি কন্টেইনারের একই নম্বর পেয়েছিলাম। তখন অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, যেখানে কন্টেইনার তৈরি হয় ওই কারখানার ভুল। এবারও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি অনুসন্ধান করে দেখবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে জানা যাবে, এটি প্রকৃতপক্ষে কেন ঘটেছে।’
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪ মার্চ জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামানোর সময় বন্দরের নিজস্ব কন্টেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিটিএমএস) বিষয়টি ধরা পড়ে। পণ্যভর্তি এই দুটি কন্টেইনার ভিন্ন দুটি জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। সিটিএমএস ধরা পড়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কাস্টম হাউসকে জানায়। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্যের চালান দুটি অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লক করে দেয়।
কন্টেইনার দুটির নম্বর (এফসিআইইউ ৩২৮৭০৯১) একই হলেও সেগুলোর মালিকানা প্রতিষ্ঠান ভিন্ন। এর মধ্যে একটি কন্টেইনার হংকংয়ের ‘ফ্লোরেন্স’ কোম্পানির, অন্যটি ‘সিনারি’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘কন্টেইনারের সিরিয়াল নম্বর সাধারণত ইউনিক হয়। কিন্তু দুটি কন্টেইনারের সিরিয়াল নম্বর কেন একই হলো, সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ ঘটনায় বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আইজিএম, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও লোডিং বন্দরের তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাস্টমসের পক্ষ থেকেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কন্টেইনারে করে নিয়ে আসা পণ্যের তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখবে। তারা কন্টেইনারে থাকা পণ্য শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করবে। এরপরেই যদি কোনো ত্রুটি বের হয়ে আসে। তখন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’