হাওরাঞ্চল (নেত্রকোণা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫৮ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪ ২০:২১ পিএম
মধ্যনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদার ও তিন ইউপি সদস্য প্রাণ গোপাল চৌধুরী, সুমন চন্দ্র বর্মণ, নূরুল ইসলাম নূরু। ছবি কোলাজ: প্রবা
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে আপস অযোগ্য চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত সুজন হত্যাকাণ্ডের মামলা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদারসহ তিন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব একেএম আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই তিন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদার, একই ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রাণগোপাল চৌধুরী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুমন চন্দ্র বর্মন ও পার্শ্ববর্তী চামরদানী ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম নুরু আপস অযোগ্য চাঞ্চল্যকর সুজন হত্যাকাণ্ডের মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে তারা তাদের দাপ্তরিক সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করেন। এজন্য জেলা প্রশাসকের সুপারিশ মোতাবেক স্থানীয় সরকার বিভাগ তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে।
একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ) (ঘ) ধারা অনুযায়ী তাদের পদ থেকে কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না- দশ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিত জবাব পাঠাতে বলা হয়েছে।
এর আগে জেলা দায়রা জজ আদালত এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদারকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, ‘সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদারসহ তিন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ জুন উপজেলা সদর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত আশুতোষ সরকারের ছেলে ট্রলারচালক সুজন চন্দ্র সরকারকে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ কাজল মিয়া, কিবরিয়া চৌধুরী ও তানভীর হোসেন হত্যা করে মরদেহ গুম করতে পাথর বেঁধে টগার হাওরে ফেলে দেন। এ ঘটনায় সুজনের মা মধ্যনগর থানায় মামলা করেন।
প্রায় বছর দেড়েক আগে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটিকে আপসের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদারসহ ওই তিন ইউপি সদস্য।