চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪ ২২:৫৫ পিএম
চট্টগ্রাম জেলা জাজ কোর্ট মিলনায়তনে সিম্স প্রকল্পের ‘এক্সেস টু জাস্টিস’ কার্যক্রমের আওতায় আইনি প্রক্রিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সভা। প্রবা ফটো
অভিবাসনকর্মীগণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে মন্তব্য করে চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আজিজ আহমদ ভূঞা বলেছেন, ‘অভিবাসনকর্মীদের অনেকেই অসচেতনতার কারণে বিপদে পড়ছে। এক্ষেত্রে তাদের জন্য আইনী সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’
বুধবার (০৬ মার্চ) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা জাজ কোর্ট মিলনায়তনে সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে ও হেলভেটাস বাংলাদেশ’র কারিগরি সহযোগীতায় সিম্স প্রকল্পের ‘এক্সেস টু জাস্টিস’ কার্যক্রমের আওতায় আইনি প্রক্রিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি।
এম আজিজ আহমদ ভূঞা বলেন, অভিবাসনকর্মীরা অনেক সময় আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে সাজাও দেয়। কিন্তু এসব ঘটনায় অভিবাসনকর্মীরা আর্থিক যে ক্ষতির সম্মুখীন হন, সংশ্লিষ্ট ডকুমন্টেস’র অভাবে সেই ক্ষেত্রে আদালতের কিছু করার থাকে না।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান এডভোকেট দিল আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেসা এবং চট্টগ্রাম জেলা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা বিষয় বস্তুর উপর উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক নাফিজ ইমতিয়াজ হাসান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সমিতির সদস্য আইনজীবী, অভিবাসীদের আইনী সহায়তায় প্যানেল আইনজীবী, প্রত্যাশী’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক বশির আহমেদ মনি, স্থানীয় সাংবাদিকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ভুক্তভোগী অভিবাসন কর্মীদের ন্যায়বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পাদনের উপর জোর দেন। এডভোকেট দিল আফরোজের বলেন, বিচারকার্যের দীর্ঘসূত্রীতার কারণে আসামীরা পার পেয়ে যায়, ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। অনুষ্ঠানে সিম্স প্রকল্পের মাধ্যমে আইনীসেবা গ্রহণকারী একজন উপকারভোগী অভিবাসনকর্মী উপস্থিত থেকে তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেন।