কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫২ পিএম
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৪ ২০:১২ পিএম
পুঁতে রাখা বন্য হতির হাড়গোড় রবিবার উদ্ধার করেন বন বিভাগের কর্মচারীরা। প্রবা ফাইল ফটো
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীতে বন্য হাতি হত্যার পর পুঁতে রাখার ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) চন্দ্রঘোনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের আওতাধীন রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়াস্থ রাইখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহেদুল ইসলাম। বুধাবার বিকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাইখালী এলাকার উষামং মারমা, উথোয়াই প্রু মারমাসহ একই এলাকার ১৫-২০ জন দুষ্কৃতকারী একটি বন্য হাতিকে হত্যা করেছে। বিষয়টি জানার পর বন কর্মচারীরা খোঁজাখুঁজি করে রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালা আমতলীস্থ চন্দনাইয়া কাটাপাহাড়ের নিচে দেখতে পান দুষ্কৃতকারীরা বন্য হাতিকে হত্যা করে হাতির মাংস ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়ে যায়। হাতির দেহের অংশবিশেষ হাড়, নাড়িভুঁড়ি, চোয়ালের নিচের অংশ মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখে তারা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর কাপ্তাই উপজেলা পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের সার্জন ডা. মো. জাকিরুল ইসলামকে জানালে তিনি সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে মাটির নিচ থেকে বন্য হাতির মাংসবিহীন পায়ের হাড়, কিছু মাংস, মল, রক্তমিশ্রিত বালু ময়নাতদন্তের জন্য সংগ্রহ করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে যেকোনো সময় হাতিটিকে হত্যা করা হয়। আসামিরা ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। ঘটনার দিন আসামিরা যোগসাজশ করে সংঘবদ্ধভাবে বন্য হাতিটি হত্যা করে দেহের অনান্য অংশ ভাগবাঁটোয়ারা করে নেয়; যা বন্য প্রাণী আইন (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) ২০১২ আইন লঙ্ঘন করেছে।
মামলার বাদী রাইখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্য হাতি সুরক্ষায় আমরা অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রাইখালীতে হাতি হত্যার মতো জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। অনেকটা নিশ্চিত হয়ে ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তির নাম এবং সঙ্গে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।‘
এ বিষয়ে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনচারুল করিম জানান, বন বিভাগ থেকে হাতি হত্যার বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।