রংপুর অফিস
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪ ১৭:০১ পিএম
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৬ পিএম
প্রতীকী ছবি।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টায় উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের চেংমারী মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ ঘর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রিমা বেগম মধ্যপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনার পর থেকে আনোয়ার মিয়াসহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, চার বছর আগে বড়বিল ইউনিয়নের রশিদুল মিয়ার মেয়ে রিমা বেগমের সঙ্গে গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের চেংমারী মধ্যপাড়া গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে আনোয়ার মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকে। তাদের সংসারে দেড় বছরের এক ছেলে রয়েছে। রবিবার রাতে এবং সোমবার সকালে রিমা ও আনোয়ারের মাঝে ঝগড়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের সদস্যরা নিজ ঘরে রিমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। স্থানীয়রা মরদেহটি মাটিতে নামিয়ে রাখে। বিকালে মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
রিমার মামা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে রিমাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল। সোমবার সকালে ছোট বোনকে ফোন করে রিমা বলেছিল তার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পর আমরা জানতে পারি সে নাকি ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে। মূলত রিমাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলানোর নাটক সাজিয়েছে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, ‘রিমার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টে তার শরীরে কোনো নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’