বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৯ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪ ২০:৩১ পিএম
নিহত আজহারুল ইসলাম শান্ত। প্রবা ফটো
বগুড়ায় আজহারুল ইসলাম শান্ত হত্যাকাণ্ডে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১১জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৯/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শান্তকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী নিহতের মা রাবেয়া খাতুন। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ।
গত শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শহরের চকফরিদ কলোনী এলাকায় অগ্রনী ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় খুন হন একাধিক মামলার আসামি শান্ত। নিহত শান্ত সারিয়াকান্দি উপজেলার কুপতারা সাহাপাড়া এলাকার আবুল হোসেন আলীর ছেলে। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে শহরের ফুলদিঘী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। এছাড়াও সৈয়দ আহম্মেদ কলেজে ডিগ্রিতে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টারনেটের ব্যবসা করত।
ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শান্তকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে৷ তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না৷ এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
নিহতের ভাই হাসিবুল ইসলাম বলেন, মালতীনগরের সুমনের সাথে এক মাস আগে কথাকাটি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার জের ধরেই আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সুমন আগে গাড়ি চালাত। এখন কলোনী, চক ফরিদ, লতিফপুর এলাকায় ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। এই সুমনের সঙ্গেও শান্ত কাজ করত এবং মাদক কারবার করত। শান্তর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও ছিনতাইসহ চারটি মামলা হয়৷ পরে শান্ত সুমন বিরোধী এক গ্রুপের সঙ্গে যোগ দিলে শত্রুতা বাড়ে। সেই শত্রুতার জের ধরে বা ছিনতাইয়ের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে শান্তকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।