ঝিনাইদহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৫:৫৯ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৬:২৬ পিএম
ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকা থেকে তিনটি মেছো বাঘের শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। প্রবা ফটো
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এবার সেচখাল থেকে তিনটি মেছো বাঘের শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৩ মার্চ) সকালে কীর্ত্তিনগর খাল থেকে স্থানীয়রা শাবকগুলো ধরে নিজেদের কাছে নিয়ে আসে। ওই এলাকায় দেড় বছর আগে একটি ধানক্ষেতের সেচপাম্পে দুটি শাবকসহ মা মেছো বাঘ আটকা পড়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই এলাকার বনজঙ্গলে বিলুপ্ত এ প্রাণীর খাদ্যসহ আবাস উপযোগী ব্যবস্থা রয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা বন কর্মকর্তা মখলেচুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী-কীর্ত্তিনগর সেচখালে হাল্কা পানি আছে। আশপাশজুড়ে গমের ক্ষেত বনজঙ্গলও রয়েছে। যেহেতু শাবকগুলো ছোট ও দুধপান করে এবং আশপাশেই তাদের মা মেছো বাঘ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই বাচ্চাগুলো আবার সেচখালের বনজঙ্গলের ভেতরে রেখে আসা হয়েছে। এ সময় থানা ও ক্যাম্প পুলিশ উপস্থিত ছিলেন ।
বনবিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রাণীদের ওপর যেন কোনো অত্যাচার না করা হয়।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় আগেও দেখা মিলছে বিলুপ্ত প্রায় এই বন্যপ্রাণীটির। বড় বড় মেছো বাঘই নয় তাদের সঙ্গে দেখা মিলছে একাধিক শাবক বা বাচ্চারও। ধারণা করা হচ্ছে এই এলাকার বনজঙ্গলে বিলুপ্ত এই প্রাণীর খাদ্যসহ আবাস উপযোগী ব্যবস্থা রয়েছে। দেড় বছর আগে শৈলকুপার শাহবাড়িয়া মাঠে সেচপাম্পের ভেতরে দুটি বাচ্চাসহ মা মেছোবাঘ ধরা পড়ে। আর এবার শৈলকুপার কীর্ত্তিনগর গ্রামের মাঠের সেচখালে খেলা করছিল শাবকগুলো। স্থানীয় বাসিন্দারা তা দেখতে পেয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে আসে তিনটি বাচ্চা।
গ্রামটির কৃষক জমির উদ্দিন ও শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের সেচখালটিতে তিনটি মেছো বাঘের বাচ্চা দেখতে পান। এই বণ্য প্রাণীদের কোনো বাসা ছিল না সেখানে। খালটি লোকালয়ে হওয়ায় শাবকগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেকারণে সেখান থেকে উঠিয়ে এলাকাবাসী রাস্তার পাশে শাবকগুলো নিয়ে আসে। এরপর তারা বনবিভাগকে খবর দেয়।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) ২০০৮ সালে মেছো বাঘকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। দেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।