মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪ ১৫:১০ পিএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪৩ পিএম
পাকুন্দিয়ায় গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মেহেদী হাসান ও আতিকুর রহমান মাহিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় গণধর্ষণ মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানার জামাই বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪-এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প।
গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি হলেন- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা তারাকান্দি ভূঁইয়াবাড়ির মো. মাসুমের ছেলে মেহেদী হাসান এবং একই এলাকার আকন্দবাড়ির মোখলেছ মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান মাহিন।
শনিবার (২ মার্চ) র্যাব-১৪-এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আশরাফুল কবির প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলা হওয়ার পর আসামিরা বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুজনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র্যাব-১-এর যৌথ অভিযানে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্বথানার জামাই বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ মামলার পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১৪-এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের পাকুন্দিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে চরতেটেকিয়া এলাকা থেকে শামীমা (ছদ্মনাম) তার বন্ধু সাব্বির ও আশরাফকে সঙ্গে নিয়ে হুমায়ুন কবিরের অটোরিকশায় করে তারাকান্দি এলাকায় ঘুরতে যান। তারাকান্দি বাজারে যাওয়ার পর রাস্তার পাশে অটোরিকশা রেখে সাব্বির ও আশরাফ দোকান থেকে কিছু কিনতে গেলে মো. কাউসার, জুবায়েদ হাসান শুভ, মো. হাসান, হৃদয়, মাহিন বাবু, তোফাজ্জল হোসেন রাজু ও ইয়াছিন শামীমাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
ওই সময় সাব্বির ও আশরাফ এগিয়ে এলে আসামিরা তাদের অটোরিকশায় তুলে জোরপূর্বক তারাকান্দি এলাকার তারাকান্দি ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে নিয়ে যায়। পরে সাব্বির, আশরাফ ও অটোরিকশার ড্রাইভার হুমায়ুন কবিরকে মাদ্রাসার মাঠে আটকে রেখে বিকাল ৩টার দিকে শামীমাকে মাদ্রাসার পাশের একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় সাব্বির ও আশরাফের কাছ থেকে আসামিরা ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আশরাফ মুক্তিপণের টাকা সংগ্রহের কথা বলে পাকুন্দিয়া থানায় এসে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ বিষয়টি অবগত হয়ে তাৎক্ষণিক তারা ঘটনাস্থলে এসে ঘটনাস্থল থেকে আসামি মো. কাউছার, জোবায়ের হাসান শুভ ও তোফাজ্জল হোসেন রাজুকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় শামীমা চিকিৎসা গ্রহণ করে পাকুন্দিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।