নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪ ১০:৩৪ এএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪ ১১:৪০ এএম
শিশু শাহাদাত হোসেন । প্রবা ফটো
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের পর এবার সোনাইমুড়ীতে খতনা করার সময় এক শিশুর জননাঙ্গের সামনের অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাজামকে (খতনাকারী) আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিশুটিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে বিকালে উপজেলার নদনা ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটে।
সাত বছরের শিশু শাহাদাত হোসেন উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বুরপিট গ্রামের বুরপিট দক্ষিণ সরকারবাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে। আটক হাজাম মামুন সুবর্ণচরের বাসিন্দা।
শাহাদাত হোসেনের চাচা কবির হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে শিশু শাহাদাতের খতনা করানোর জন্য মামুনকে খবর দেওয়া হয়। মামুন ক্ষুর দিয়ে খতনার কাজ শুরু করেন। এ সময় জননাঙ্গের সামনের অংশ কাটা পড়ে। প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। আটক করা হয় মামুনকে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তানভীর হায়দার বলেন, কেটে ফেলা অংশ ফ্রিজআপ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, ঢামেক হাসপাতালে সার্জারি করে কাটা অংশ জোড়া লাগানো হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খতনা করাতে শিশুদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খতনা করার সময় আল নাহিয়ান তানভীর নামে এক শিশুর জননাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে শাস্তিমূলক বদলি ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টকে (শিক্ষানবিশ) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিষিদ্ধ করা হয়। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।