সৈয়দ নজরুল মেডিকেল
সাইফুল হক মোল্লা দুলু, মধ্যাঞ্চল
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪৭ এএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪ ১০:৪৬ এএম
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে অবাধে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। শহরের অদূরে যাশোদল ইউনিয়নে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি পুরো জেলার স্থাস্থ্যসেবার অন্যতম ভরসা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিতে সেবা নিতে এসে প্রবেশ মুখেই যানজটে আটকে থাকতে হয় রোগী ও স্বজনদের।
জরুরি মুহূর্তে হাসপাতালের কাছে এসেও সেবা নিতে বিলম্ব হওয়ার পেছনে ফুটপাথ দখলকারীদের আগ্রাসী মনোভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনিতেই সরু সড়কে দীর্ঘ সময় যানজট পেরিয়ে হাসপাতালের কাছে এসেও আটকে থাকার এসব ঘটনায় অতিষ্ঠ সেবা প্রার্থীরা। এমনকি দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলে না চিকিৎসক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরও।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান প্রবেশ পথের ১২ ফুট প্রশস্ত সড়কের দুপাশের চার ফুট দখল করে অবাধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে। এমনকি প্রবেশমুখ ঘেঁষেও বসানো হয়েছে একাধিক দোকান। এসব দোকানে বেচাকেনা কেন্দ্র প্রায় সারাক্ষণ জটলা লেগেই থাকে। এর মধ্যে আবার সারি সারি করে গাড়ি পার্কিং করে রাখা থাকে বেশিরভাগ সময়।
জানা যায়, ২০১৯ সালে যাত্রীদের কথা চিন্তা করে ছাউনি করার উদ্যোগ নেয় যশোদল ইউনিয়ন পরিষদ। পরে তাদের অর্থায়নেই দুই লাখ টাকা ব্যয়ে মেডিকেল কলেজ গেটে সাধারণ যাত্রী ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ছাউনি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর উদ্বোধনের আগেই এটিও দখল করে গড়ে তোলা হয় নানা দোকান।
বছরখানেক আগে হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি অবসরে চলে যাওয়ায় বাস্তবায়ন হয়নি সেই নির্দেশনাও। ভুক্তভোগীরা জানান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রতিদিন সেবা ও নানা কাজে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। এসব লোকজন তীব্র জটের কারণে হাসপাতালে ঢুকতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে রোগীর স্বজনরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ থেকে পৌর শহরে নাজুক যাতায়াত ব্যবস্থা, সংকুচিত রাস্তা ও হাসপাতালের সামনের পরিবেশ অত্যন্ত খারাপ থাকায় দুর্ভোগের শিকার হতে হয় তাদের।
হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার বলেন, কলেজ গেটে নির্মিত যাত্রী ছাউনিটি এক দিনের জন্যও ব্যবহার করা হয়নি। ছাউনিটি নির্মাণ করার মাঝেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এটি দখল করে রেখেছে।
এ বিষয়ে মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো জহিরুল ইসলাম ‘প্রতিদিনের বাংলাদেকে বলেন, কলেজের সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, অপ্রশস্ত রাস্তার কারণে রোগী ও শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বিড়ম্বনার শিকার হন। এ বিষয়ে কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে শিগগিরই গেটের সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, এ বিষয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহযোগিতা চাইলে প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে।