অভয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন
অভয়নগর (যশোর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৫ পিএম
অভয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি এমপি এনামুল হক বাবুলসহ অতিথিরা। প্রবা ফটো
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অভয়নগর উপজেলা, নওয়াপাড়া পৌর ও নওয়াপাড়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউট চত্বরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ এনামুল হক বাবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কামিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত কুমার দাশ শান্ত।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব। সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন কবির টুটুল।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আল আমিন রহমান, মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক অতনু বর্মন, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম অনিকসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন অভয়নগর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শাহ্ খালিদ মামুন।
প্রধান অতিথি এনামুল হক বাবুল এমপি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। এ দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৫ সালে বিএনপি জামায়াত সারা দেশের মত অভয়নগরে আগুন-সন্ত্রাস করেছিল। সে সময় অভয়নগরে ছাত্রলীগের নেতারা বিএনপি জামায়াতের সেই আগুন সন্ত্রাস রুখতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছিল। আমরা ছাত্রলীগকে সঙ্গে নিয়ে আগুন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগকে যতবার আঘাত করা হয়, ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করা হয় ততবারই নতুন করে জেগে ওঠে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নতুন করে এগিয়ে যায়। ছাত্রলীগ যত সুশৃঙ্খল হবে, চাঁদাবাজ মুক্ত হবে, ছাত্রলীগ তত সামনের দিকে অগ্রসর হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন, যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার কথা বলছেন, সেকারণে আমরা মনে করি যারা স্কুল কলেজে লেখাপড়া করছে, তাদের সারা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় যেতে হবে। আমরা যেন প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছুটে চলি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে লড়াই, সেই লড়াই বর্তমান সময়েও যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা জারি রাখতে পারে।’
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ। উন্নত, আধুনিক, সৃজনশীল ও স্বনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যার কোনো বিকল্প নেই।’