নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৭ পিএম
প্রতীকী ফটো
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১৬টি বাড়ি লুটপাটের ঘটনার রেশ ধরে আবারও মামলার বাদী আবুল হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাতেম আলী নামে এক লোক নিহত হয়েছেন। নিহতের ঘটনায় পুলিশ বলছে, লোকটি স্টোক করে মারা গেছেন। নিহত হাতেম আলীর পরিবার দাবি করেছে, হাতেম আলীকে মেরে ফেলা হয়েছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাহেরচর গ্রামে।
আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন এবং ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জুলহাস মেম্বর ও শাহ আলমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সোমবার রাতে জুলহাস মেম্বর ও শাহ আলমের পক্ষের লোকেরা তোফাজ্জল ও মহিলা ইউপি সদস্য আফরোজার বাড়িসহ ১৬ বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ নিয়ে তোফাজ্জলের ভাই আবুল হোসেন বাদী হয়ে বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তোফাজ্জলের ভাই আবুল হোসেন বাহেরচর বাজারে তার দোকান খুলতে গেলে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে জুলহাস মেম্বরের লোকেরা। তাকে সঙ্গে সঙ্গে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হলে এলাকায় এ নিয়ে আবারও উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এলাকায় পুলিশ যাওয়ার সংবাদে জুলহাস মেম্বরের পক্ষের লোকজন এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। হামলায় ১৫ জন আহত হয়। এ সময় জমিতে কাজ করতে থাকা হাতেম আলী আতঙ্কিত হয়ে মারা যান বলে পুলিশের ভাষ্য।
আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ আরও জানান, হাতেম আলীর মৃত্যু স্ট্রোকজনিত কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য লাশের ময়নাতদন্তের দরকার। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
হাতেম আলীর ঘটনায় হত্যা মামলা হবে কি না, জানতে চাইলে ওসি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
এ ব্যাপারে তোফাজ্জল ও জুলহাস মেম্বরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তারা কল রিসিভ করেননি।