শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৩ পিএম
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৭ পিএম
ছবিতে বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ জেলেদের কয়েকজন।
মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারডুবে বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হওয়া সুন্দরবনের দুবলার চরের ৯ জেলের সাড়ে তিন মাসেও খোঁজ মেলেনি। গত ১৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ নিখোঁজ হন তারা।
আগামী ২৮ মার্চ দুবলার চরের শুঁটকি পল্লীর কার্যক্রম শেষ হবে। সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন জেলে-বহাদ্দাররা। কিন্তু নিখোঁজ জেলেদের এখনও সন্ধান না মেলায় উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের নিয়ে আসা বহাদ্দর ও পরিবারের। তারা জানেন না নিখোঁজ জেলেরা বেঁচে আছেন কি না।
দুবলার চরের অফিস কিল্লার ইসাহাক বহদ্দার ও আবু বহদ্দার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, গত ১৭ নভেম্বর তার এফবি আল্লাহর দান ফিশিং ট্রলারে করে ১৪ জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে ট্রলার উল্টে যায়। পরে ভাসমান অবস্থায় ৬ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে আরেকটি ট্রলারের জেলেরা। এরপর থেকে বাকি ৯ জেলের খোঁজ মিলছে না।
নিখোঁজরা হলেন হামিনি জলদাসের ছেলে সুদান, আব্দুল কারিমের ছেলে নেছার, হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল কাসেম, মো. ইসলামের ছেলে বাদশা, করিম আকনের ছেলে কালু, হরিসন্ন দাসের ছেলে হরি রঞ্জন, সোনায়েত আলীর ছেলে আমির হোসেন, ইসলাম মিয়ার ছেলে নুরুল আফসার এবং জামাল মিয়া।
তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া ও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
নিখোঁজদের পরিবারের বরাতে আবু বহদ্দার বলেন, যারা নিখোঁজ হয়েছেন তারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এতদিনেও জেলেদের খোঁজ না মেলায় পরিবারগুলো আর্থিক ও মানসিকভাবে কষ্টে রয়েছে।
তিনি জানান, জেলেদের নিখোঁজের বিষয়টি তারা ২৬ ডিসেম্বর বন বিভাগের দুবলা জেলে পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার খলিলুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিক তারা আমাকে জানায়নি। যে কারণে মিধিলির ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দেওয়ার সময় ৯ জেলের নিখোঁজের খবরটি উল্লেখ করা যায়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পরে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছিল যে কারও পরিবারের কেউ নিখোঁজ থাকলে সে বিষয়ে জানাতে বা তথ্য দিতে। কিন্তু তখন কেউ ওই জেলেদের নিখোঁজের বিষয়ে কিছু জানায়নি। এখন এ নিয়ে তেমন কিছু করার নেই।