কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫০ পিএম
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৫১ পিএম
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ গত সোমবার বিকাল থেকে শোনা যায়নি। তিন দিন পর ফের বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যে জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত চলে। সে সময় সীমান্ত এলাকা টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের লোকজন ভয়ে সরে আসেন।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে, নাফ নদের ওপারে অন্তত দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের বলিবাজার, নাকপুরা এলাকা ঘিরে সংঘাতে এসব বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসে এপারেও। ওই সময় আকাশের অনেক উঁচু থেকে চক্কর দিতে দিতে বিমানে করে মর্টার শেল ও বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সদস্যরা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া বলিবাজার এলাকায় এই হামলা চালিয়েছে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, তিন দিন পর সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ভোরে থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা গেলেও সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টানা বিকট শব্দ ভেসে আসে। ওই সময় মিয়ানমারের বলিবাজার ও নাকপুরা পাড়া এলাকায় আকাশে বিমানের চক্কর এবং মর্টাল শেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দুপুরের পর থেকে শব্দ কমলেও থেমে থেমে শব্দ আসছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহজালাল জানান, তিন দিন পর আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সীমান্তের লোকজন আতঙ্কে রয়েছে।
উনচিপ্রাং এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় সাংবাদিক তাহের নঈম জানান, গত সোমবার বিকাল ৪টার পর থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। এ সময়ে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সীমান্ত দিয়ে বিকট শব্দ শোনা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দে নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সীমান্তে।
মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের তৎপর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।