নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৩৯ এএম
বন্দর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে নির্মাণাধীন মার্কেট। প্রবা ফটো
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে রেলওয়ের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে গোলাম মোর্তুজা টিটু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দখল হয়ে যাওয়া সেই জায়গায় পাকা স্থাপনা উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই হলেও কর্তৃপক্ষ নীরব। স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলওয়ের কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের যোগসাজশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ট্রাকের মাধ্যমে বালু ফেলে এ খাল দখল করে পাকা দোকান স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম মোর্তুজা টিটু ১১৮ শতাংশ জায়গা রেলওয়ে থেকে কৃষিকাজের জন্য লিজ নেন। এরপর ওই জমির ওপর টিনশেড ছাপড়া নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ব্যবসা চালিয়ে এলেও সেখানে কোনো স্থায়ী পাকা স্থাপনা ছিল না।
কিন্তু সম্প্রতি টিনশেড ছাপড়া ভেঙে ট্রাকে করে বালু দিয়ে সড়কের পাড়ের জমি ভরাট করে সেখানে স্থায়ী পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে ৭টি বড় দোকান আকৃতির স্থাপনার প্রায় ছাদ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সমাপ্তের পথে।
রেলওয়ের জায়গায় স্থায়ী ভবন নির্মাণের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গোলাম মোর্তুজা টিটুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে টিটুর ম্যানেজার মুছা বলেন, প্রায় ৩০-৩৫ বছর ধরে রেলওয়ে থেকে ১১৮ শতাংশ জায়গা টিটু সাহেব লিজ নিয়েছে। দীর্ঘদিন কোনো পাকা স্থাপনা না থাকায় এখন আমরা লিজকৃত জায়গায় পাকা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করছি। আর লিজকৃত জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহে এসিল্যান্ড সরেজমিনে এসে দেখে গেছে এবং লিজের কাগজপত্র নিয়ে গেছি। আপনি প্রয়োজনে এসিল্যান্ড, ইউএনও ও চেয়ারম্যান সাহেবদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কেন্দ্রে আসা একাধিক সেবাপ্রার্থী জানান, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মূল ফটকের পাশেই এরকম মার্কেট নির্মাণে নিয়মিত লোকসমাগমের কারণে জটলা লেগেই থাকবে। এতে গর্ভবতী নারী অথবা মুমূর্ষু রোগীকে দ্রুত কেন্দ্রে আনা-নেওয়ায় বেগ পেতে হবে। একইসঙ্গে এখানে বখাটেদের উৎপাতও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রোগীর সঙ্গে আসা আত্মীয়স্বজনদের মূল্যবান সামগ্রী, টাকাপয়সা ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটতে পারে।
বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বেলায়েত হোসেন জানান, আমি এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ মুহাইমিন আল জিহান জানান, ‘আমি এই বিষয়টি এখনি দেখছি।’